সিটিজি ট্রিবিউন আয়াজ আহমাদ:আজ ০৭ নভেম্বর রোজ শনিবার বেলা তিন ঘটিকায় চট্টগ্রাম ওয়াসার মোড় সকল সাংবাদিক কলম সৈনিক রা উপস্থিতিতে মানব বন্ধন সফল হয়েছে।এতে উপস্থিত থেকে ।
সভাপতিত্ত করেন– সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শিব্বির আহাম্মেদ ওসমান,অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন–বাংলাদেশ“রিপোর্টার্স ক্লাব” সাধারণ সম্পাদক — মোহামদ রফিকুল ইসলাম, বক্তব্য রাখেন– মঈন উদ্দিন কাদেরী শউকত,রোটারিয়ান এস,এম,আজিজ,বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিবেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শামসুল হক,রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি জামাল চৌধুরী বিপ্লব, সাংবাদিক ফোরামের মহাসচিব চোধুরি মোহাম্মদ রিপন,প্রবাসী নিউজ লাইভ চেনেলের পরিচালক নাসির উদ্দিন মজুমদার,লোহাগড়া প্রেস ক্লাব সভাপতি এডভোকেট মোঃ মিয়া ফারুক।চেনেল এইচ ডি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা।
সিটিজি ট্রিবিউন এর নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহম্মেদ, দৈনিক কালজয়ী সাংবাদিক তানভির আহমেদ।মোহনা টিভির সাংবাদিক নুরুল কবির দুলাল, উপস্থিত ছিলেন সি আই পি খন্দকার এম এ হেলাল,সাংবাদিক শারমিন শান্তা,
রিপন চোধুরি,এস,এম মেহেদি,সাজিদ,ওয়াইজার,টিটু,রতন বড়ুয়া, সাজিদ হোসেন, আব্দুল মান্নান ,জয়ন্তী,মুন্না,সাজ্জাদ হোসেন সুমন,নেছার আহমেদ,ইমাম উদ্দিন, মোঃনুর হোসেন ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়া,প্রিন্ট মিডিয়া ও অনলাইনের অনেক সাংবাদিক ভাই বোনরা উপস্থিত ছিলেন।এতে বক্তারা বলেন,ও প্রতিবাদ জানান।
পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বছরের পর বছর ধরে নির্যাতিত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের পরিসংখ্যান দেখলে আঁতকে উঠতে হয়। কিন্তু সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হয় না। ভয়-ভীতি, হুমকি-ধামকি, মামলা-মোকদ্দমা, মারাত্মক শারীরিক নির্যাতনে জখম থেকে শুরু করে গুম কিংবা খুন নির্যাতনের এমন কোনো ধরন নেই যার শিকার হচ্ছেন না সাংবাদিকরা।
চট্টগ্রাম সহ সারা দেশে এ বিভাগীয় শহর কিংবা মফস্বল সর্বত্রই চলছে এই নির্যাতন। স্থানীয় প্রভাবশালী, রাজনৈতিক নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন থেকে শুরু করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা বা সদস্য সবার বিরুদ্ধেই বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। লোকচক্ষুর অন্তরালে তুলে নিয়ে নির্যাতন থেকে শুরু করে প্রকাশ্য দিবালোকে জনসমক্ষে মারধরের শিকার হচ্ছেন, নির্যাতিত হচ্ছেন সাংবাদিকরা। কিন্তু দেশে একের পর এক সাংবাদিক হত্যা আর নির্যাতন-নিপীড়নের বিচার নেই। হত্যা ও নির্যাতনের অগুনতি মামলা বছরের পর বছর ঝুলে আছে, বিচারের কোনো অগ্রগতি নেই। বিচার না করায় দেশে এখন সাংবাদিক নির্যাতন নিত্যকার বিষয় হয়ে উঠেছে।
যে কোনো স্থানীয় বা জাতীয় দুর্যোগে সাংবাদিকরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। এমন ঝুঁকিপূর্ণ পেশায় কাজ করা সত্ত্বেও সাংবাদিকদের জন্য কোনো ধরনের ঝুঁকিভাতা পর্যন্ত নেই। কিন্তু পেশাগত দায়িত্বপালনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাংবাদিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। দেশে করোনা মহামারী বিস্তারের শুরু থেকেই চিকিৎসক ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরই সবচেয়ে বেশি ঝুঁকি নিয়ে নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন সাংবাদিকরা।
অথচ দেখা গেল মহামারীর জাতীয় দুর্যোগের সময়েই দেশে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনা আগের তুলনায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাস জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চে যথাক্রমে ১৭, ১৮ ও ১৫ জন করে মোট ৫০ জন সাংবাদিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর মহামারী শুরুর পরের তিন মাস এপ্রিল, মে ও জুনে যথাক্রমে ৩৬, ৪০ ও ৩০ জন করে মোট ১০৬ জন সাংবাদিক নির্যাতিত হয়েছেন। গণমাধ্যমে প্রতিদিনই এসব নির্যাতনের সংবাদ প্রকাশিত হলেও দেশে এর কোনো প্রতিকার নেই।গত মাসে গোলাম সারওয়ার গুম পরে উদ্ধার,
এটা খুবই দুঃখজনক যে, একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সংবাদ মাধ্যম এবং সাংবাদিকতার খুবই দুর্দিন চলছে। একদিকে করোনা মহামারীর কবলে পড়ে সংবাদপত্র, রেডিও, টেলিভিশন ও অনলাইন সংবাদ প্রতিষ্ঠানগুলো প্রবল আর্থিক সংকটে পতিত হয়েছে, আরেকদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ নানা নিবর্তনমূলক ব্যবস্থার শিকার হচ্ছেন সাংবাদিকরা। আর এমন জলে কুমির ডাঙায় বাঘের পরিস্থিতিতেও অবাধে চলছে সাংবাদিক নির্যাতন।
এক্ষেত্রে সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদাসীনতার পাশাপাশি সাংবাদিক সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক বিভক্তি এবং সাংবাদিকদের পক্ষে লড়াই করার মতো কোনো সহায়ক প্রতিষ্ঠান না থাকাটাও একটা বড় সংকট। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের এক প্রতিবেদন অনুসারে কেবল ২০১৯ সালেই শারীরিক নির্যাতন, হামলা, মামলা, হুমকি ও হয়রানিসহ বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৪২ সাংবাদিক। আর চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কমপক্ষে ৬২টি মামলা হয়েছে, যেখানে আসামি করা হয়েছে ১৪০ জনকে। কিন্তু সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও নির্যাতনের ঘটনায় সরকারের ভূমিকা অনেকটাই নীরব।
গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হলে এই পরিস্থিতির পরিবর্তন জরুরি।
দেশের ইস্তাম্বু না থাকলে দেশের ঘটে যাওয়া অজানা সব রহস্য। যাদের জন্য একটি দেশের ভালো মন্দ তুলে ধরে দশের মাঝে ছুঁটে যায় তারা,অথচ সেই কলম সৈনিক কে আজ পদে পদে নির্যাতন করা হচ্ছে। তার ন্যায় বিচার চাই। সাংবাদিক রা সত্য ঘটনা তুলে ধরলে তারা হয়ে যায় শত্রু কেন এই?এর সুস্থ বিচার চায়।?