চন্দনাইশে ‌মৌসুমী পণ্যের দাম চড়া

চন্দনাইশে ‌মৌসুমী পণ্যের দাম চড়া।

ইসমাইল ইমন সিটিজিট্রিবিউন চট্টগ্রাম 

হাট-বাজারে নানারকমের মৌসুমী শাকসবজি তবুও দাম আকাশচুম্বী।
শীতকালের প্রায় মৌসুমের শেষ দিকে শাক সবজির সরবরাহ কম থাকায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্তের ক্রেতারা হতাশ।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার পৌরসভা সদরস্থ থানাবাজার, খান হাট,বরকল মৌলভীবাজার হাট, সাতবাড়িয়া সাপ্তাহিক হাট ও দোহাজারী রেল স্টেশন, বাগিচা হাট, পাইকারি, খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়।
স্থানীয় ও উপজেলার বাইরের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত টাটকা শাকসবজি নিয়ে পাইকারি,খুচরায় বিক্রি করতে আসেন। সোমবার ২৮ শে ফেব্রুয়ারি সরেজমিন ঘুরে দেখা যায় হাট-বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ রয়েছে।
বেশির ভাগ পন্যের দাম চড়া,গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিটি শাকসবজি কেজিতে ৫ থেকে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এতে কৃষকরা তেমন লাভবান না হলেও আড়তদার মজুতদার লাভবান হলেও প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়তি থাকায় ক্রেতা সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে।
লাগামহীন দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে অসহায় হয়ে পড়েছে নিম্নমধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ।ফুলকপি কেজি ৪৫-৫০ টাকা,বড় আকারের ফুলকপি ৫৫-৬৫ টাকা, বাঁধাকপি ২৫-৩০ টাকা,শিম কেজি ৪০-৫০ টাকা,গোল বেগুন ৩৫-৪৫ টাকা,কচুর মুখী ৫৫-৬০ টাকা,বরবটি ৭৫-৮০ টাকা,শশা ৫৫-৬০ টাকা,গাজর ৩০-৩৫টাকা,টমেটো দেশীয় ও হাইব্রিড সাইজ অনুযায়ী ৪০-৬০টাকা,মুলা ২৫-৩৫ টাকা,আলু ২০-৩০টাকা,দেশী লাউ প্রতি পিস ৪০-৪৫টাকা, মরিচ কেজি ৪৫-৫৫ টাকা, এছাড়াও ডিম মাছ মুরগি ও মাংসের বাজার চড়া।
স্থানীয় ক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায় সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী দ্রব্যমূল্যের দাম নির্ধারিত থাকলেও হাট-বাজারে সেটা ভিন্ন।
জিনিসপত্রের দাম বাড়ে কিন্তু সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সাধারণ মানুষের বেতন ও আয় বাড়ে না। মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষদের সারা মাসের হিসেব মাথায় রেখে চলতে হয়।

Leave a Reply