যে কারণে বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর
যে কারণে বিয়ে করেননি লতা মঙ্গেশকর
সিটিজিট্রিবিউন: ‘ভারতরত্ন’ লতা মঙ্গেশকরের মৃত্যুতে আচমকাই থমকে গিয়েছে গোটা বিশ্ব। ৯২ বছর বয়সে বিদায় নিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের সুরসম্রাজ্ঞী। ২৮ দিন ধরে লড়াই চালিয়ে অবশেষে হার মানেন মৃত্যুর কাছে। কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন লতা মঙ্গেশকর।
সুর ও সঙ্গীতের সুবিস্তৃত ভুবনে লতা মঙ্গেশকর এক আশ্চর্য বিস্ময়! তিনি ‘জীবন্ত কিংবদন্তি’ ছিলেন বললেও বোধ হয় তার সবটা প্রতিফলিত হয় না। ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে ছিলেন প্রতিদ্বন্দ্বীহীন এক সঙ্গীতসম্রাজ্ঞী হয়ে! তবে আজীবন কুমারী থেকেছেন লতা। বিয়ে করেননি। প্রেমকে নিজের জীবন থেকে দূরেই রেখেছিলেন তিনি। যদিও পৃথিবী জুড়ে তার ভালোবাসার মানুষের অভাব ছিল না।
পরিবারের জন্যই আজীবন সিঙ্গল থেকেছেন লতা মঙ্গেশকর। নিজের সংসার পাতেননি। খালিদ মহম্মদকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে নিজের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মনের কথা বলেছিলেন লতা মঙ্গেশকর। আজীবন কুমারী থাকলেন, একাকীত্ব ঘিরে ধরেনি? তিনি এই প্রশ্নের উত্তরে জানান, ‘একমাত্র আমার মা আমার বিয়ে নিয়ে জোরাজুরি করতেন, একসময় তিনিও হাল ছেড়ে দেন। আমার কাছে আমার পরিবার বিয়ের চেয়ে বেশি জরুরি ছিল। কিন্তু এমনটা অস্বীকার করব না যে আমাকে কোনওদিন একাকীত্ব ঘিরে ধরেনি, তাহলে তো আমি মানুষই হতাম না। বিবাহিত হোন কিংবা সিঙ্গেল, একাকীত্ব সবার জীবনে আছে। কখনও কখনও এই একাকীত্ব ক্ষতিকারক হয়, তবে আমি বলব আমি খুব সৌভাগ্যবান যে ভালোবাসার মানুষরা আমার আশেপাশে সবসময় থেকেছে’।
কোনওদিন প্রেমে পড়েননি এমন প্রশ্নের জবাবে মুচকি হেসে লতা মঙ্গেশকর জবাব দিয়েছিলেন, ‘হ্যাঁ, পড়েছি তো তবে শুধু নিজের কাজের সঙ্গে। আর আমি ভালোবেসেছি আমার আপনজনদের, আমার পরিবারকে, আর কাউকে নয়’।
উল্লেখ্য, ১৯২৯ সালে মধ্যপ্রদেশের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম লতা মঙ্গেশকরে। ছোট থেকেই সংগীতের পরিবেশে বেড়ে ওঠা, তবে হিন্দি ছবির গান শুনতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। পণ্ডিত দীনানাথ মঙ্গেশকরের সবচেয়ে বড় সন্তান লতা, কৈশরে পা দিয়েই বাবা-কে হারান গায়িকা। ভাই-বোনেদের দায়িত্ব অভিভাবকের মতো পালন করেছিলেন ছোট্ট লতা। ।প্রতিবেদন:কেইউকে