অভিনেতা আবেদের মুন্সি চরিত্রে মুন্সিয়ানা!

অভিনেতা আবেদের মুন্সি চরিত্রে মুন্সিয়ানা!

আশিক আরেফিন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট:বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের নিয়মিত মুখ ও ছোট পর্দার পরিচিত অভিনেতা ইফরাদ আবেদ। প্রায় এক দশকের ক্যারিয়ারে ছোট ছোট বৈচিত্র্যময় চরিত্র ও ভিন্নস্বাদের গল্পের নাটকে হাজির হয়ে দর্শকের মন ছুঁয়ে যেতে চেষ্টা করেছেন বারবার।তবে নিজেকে তিনি তৈরি করতে ব্যস্ত থাকতেন এবং অধীর আগ্রহ ছিল নিজেকে দীর্ঘক্ষণ স্কিনে রেখে নিজের অভিনয় দক্ষতা দর্শকদের মাঝে তুলে ধরার।আর সেই সুযোগটাও তৈরি হয়ে যায় গল্পকার ও নির্মাতা রিয়াদ বিন মাহবুবের হাত ধরে।

চট্টগ্রামের ভাষায় নির্মিত প্রথম পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্র “মেইড ইন চিটাগং “এ পার্থ বড়ুয়া,অপর্ণা ঘোষের সাথে মুন্সি চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক প্রশংসায় ভাসছেন চট্টগ্রামের সন্তান ইফরাদ আবেদ।যার সংলাপ ও অভিব্যক্তি মন ছুঁয়েছে দর্শকের। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই দেখা যাচ্ছে আবেদের প্রশংসায় নানান লেখা।সিনেমায় মুন্সি চরিত্রে নিজের অভিনয়ের মুন্সিয়ানায় এরই মধ্যে দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয়তায় জায়গা করে নিয়েছেন।

 

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইফরাদ আবেদ বলেন,
গুনী অভিনেতারদের সাথে নিজের অভিনয়ে খাপ খাইয়ে নিতে পারা চ্যালেঞ্জিং ছিল।তবে চেষ্টা করেছি নিজের স্থান থেকে অভিনয়ের সর্বাত্মকটুকু দেবার।টিমের সবাই খুবই আন্তরিক ছিল।তবে সিনেমাটির স্কির্প্ট রাইটার রিয়াদ বিন মাহবুব যদি এই ক্যারেক্টার এ আমাকে সুযোগ না দিতেন, তাহলে আমার কখনোই এই চরিত্রে অভিনয় করা সম্ভব হতো না।আর আমারও মুন্সি চরিত্র হয়ে উঠা হতো না।পরিচালক ইমরাউল রাফাত ভাই ও সহকারী পরিচালক হিমেল হক ভাই সহ পুরো টিমের আন্তরিকতা ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে আমি হয়তো চেষ্টা করেছি মাত্র।

আবেদ আরো বলেন,আরেকজনের কথা বিশেষ ভাবে না বললেই নয়,তিনি হলেন পার্থ (পার্থ বড়ুয়া) দা।

তিনি যদি আমাকে যথাযথ ভাবে গাইড না করতেন তাহলে আমার এই চরিত্র কি হতো জানি না।উনার মতো একজন গুনী মানুষের সাথে কাজ পারা সৌভাগ্যের ব্যাপার। আমার জন্য দোয়া করবেন।

উল্লেখ্য, রিয়াদ বিন মাহবুবের রচনা ও ইমরাউল রাফাতের পরিচালনায় ” মেইড ইন চিটাগং “সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ বড়ুয়া ও অপর্ণা ঘোষ। এছাড়া রয়েছেন চিত্রলেখা গুহ, সাজু খাদেম, মুকিত জাকারিয়া, নাসির উদ্দিন খান,হিন্দোল রায়,রাফিউল কাদের রুবেল,ইফরাদ আবেদ, আবু তাহের সায়মন প্রমুখ।

Leave a Reply