চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ,হল খোলা
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস বন্ধ,হল খোলা
সিটিজি ট্রিবিউন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি জুনায়েদ খান;
সরকারি নির্দেশনার সাথে একাত্মতা পোষণ অনলাইনে সবধরনের ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন।তবে শিক্ষার্থীদের চলমান বিভাগীয় পরীক্ষায় সশরীরে অংশগ্রহণ করতে হবে।শাটল ট্রেন ও আবাসিক হল এক্ষেত্রে খোলা থাকবে।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) রাত ৮:০০ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক এস এম জিয়াউল ইসলাম।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এস এম মনিরুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় :
একাডেমিক ও অফিসিয়াল কার্যক্রম এবং সার্বিক চলাচলে নিম্নোক্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করা হলাে।
১, আগামী ২৯ জানুয়ারি ২০২২ থেকে ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সশরীরে ক্লাস নেওয়া বন্ধ
থাকবে, তবে ক্লাস পূর্বের ন্যায় অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে।
২, পূর্বে নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ যথানিয়মে অনুষ্ঠিত হবে। এখানে উল্লেখ্য যে, পরীক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলে (পরীক্ষার্থী,
শিক্ষক, সহায়ক কর্মকর্তা ও কর্মচারী ইত্যাদি) অবশ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাষণ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ কৰেত হলে।
৩, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অফিস সীমিত পরিসরে খােলা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুরী সপ্তরিক কাজে যে সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহায়তা প্রয়ােজন হবে শুধুমাত্র তারা সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান শাখা প্রধানের নির্দেশনার আলােকে রােটেশন অনুযায়ী অফিসে উপস্থিত থাকবেন।
এছাড়া সবাই নিজ নিজ বাসায় অবস্থান করবেন এবং স্ব স্ব অফিস প্রধান/শাখা প্রধানের সাথে যােগাযােগ রাখবেন।
৪,বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক/গবেষকগণের গবেষণা কর্মে সহায়তার জন্য, দাপ্তরিক প্রয়ােজন এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স ১ম বর্ষ
ভর্তি সংক্রান্ত কাজের সুবিধার্থে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অনুঘন, অনুষদভূক্ত বিভাগ ও
ইনস্টিটিউটসমূহ স্ব স্ব অনুষদের ডিনবৃন্দ এবং বিভাগীয় সভাপতি ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বে খােলা থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে জরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রক্ষাণাবেক্ষণের অতীব প্রয়ােজনে অন্যান্য দপ্তর , হলসমূহ সংশ্লিষ্ট অফিস
প্রধান নিজ দায়িত্বে খােলা রাখতে পারবেন,
৫. চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আস্থ্যগতভাবে খুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং সন্তান সম্ভবা নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ স্বত্ব অফিস প্রধান শাখা প্রধানকে অবহিতকরণপূর্বক অফিসে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
৬,আবাসিক হলসমূহ ও হােস্টে খােলা থাকবে, তবে এগুলাে বসবাসরত শিক্ষার্থীদেরকে শ্যই মাস্ক ব্যবহারসহ যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করেত হবে;
৭,চট্টছাম বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার অফিসের জি-১২৩/সা, প্রশা./২০২২/তারিখ : ১৮/০১/২০২২. সংখ্যক স্মারকের আলােকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোন ব্যালি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিক্ষাসমাপনী অনুষ্ঠান (ব্যাগ)এবং জনসমাগম হয় এরূপ অন্য কোন অনুষ্ঠান আয়ােজন করা যাবেনা;
৮) এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট নয় এরূপ ব্যক্তিগণ দাপ্তরিক প্রয়ােজন ব্যতিত বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রবেশ কৱেত
পারবেন না।
,জরুরী পরিষেবা প্রদানে নিয়ােজিত অফিসসমূহ এবং আইন-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য সেবা, বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস,টেলিফোন, পরিবহন, কোভিড-১৯ ল্যাব, ও ইন্টারনেটের মত জরুরী অত্যাবশ্যকীয় সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসসমূহ ও এসব অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ এই বিধি-নিষেধের আওতা-বহির্ভূত থাকবে।
সহকারী প্রক্টর আরো বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের সাথে মিল রেখে সশরীরে বন্ধ থাকবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম। তবে সেশনজট নিরসনের জন্য অনলাইনে ক্লাস চলমান থাকবে। যাদের পরীক্ষা সময়সূচি দেয়া হয়েছে, কিন্তু পরীক্ষা শুরু হয়নি তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত ৬ ফেব্রুয়ারির পরে হবে।
আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের অবস্থান বলেন,শিক্ষার্থীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে হলে অবস্থান করবে।আমরা আপাতত হল বন্ধ করছি না।তবে যদি মহামারি অতিমাত্রায় বেড়ে যায় তাহলে আমরা হল বন্ধ ঘোষণা করব।
এর আগে শুক্রবার সকালে দেশে করোনাভাইরাস পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আমরা স্কুল-কলেজ, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু করেছিলাম। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে, স্কুল-কলেজে সংক্রমণের হার বেড়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা নিতে আসছে। এটা আশঙ্কাজনক।
মন্ত্রী বলেন, এমন অবস্থায় আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে আজ থেকে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আগামী দুই সপ্তাহ আমরা স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছি