তুরস্কের সেই ‘সামরিক অভিযান’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুশিয়ারি
তুরস্কের সেই ‘সামরিক অভিযান’ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের হুশিয়ারি
সিটিজিট্রিবিউন: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন বুধবার হুশিয়ারি দিয়েছেন, তুরস্ক যদি সিরিয়ায় কোনো সামরিক অভিযান চালায় তাহলে এ অঞ্চলটি অস্থিতিশীল হয়ে যাবে।
গত ২৪ মে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিস্যেপ তাইয়্যেপ এরদোগান সিরিয়ায় আরেকটি সামরিক অভিযান চালানোর ইঙ্গিত দেন।
ওই সময় এরদোগান অভিযান নিয়ে খুব বেশি কিছু খোলাসা করেননি। তবে জানিয়েছিলেন, যখন সেনা, গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা তাদের প্রস্তুতি শেষ করবেন এরপরই অভিযান শুরু হবে।
এদিকে সিরিয়ার যে স্থানটিতে অভিযান চালানোর কথা বলা হচ্ছে সেই স্থানটির দখল এখন রয়েছে সিরিয়ান ড্যামোক্রেটিক ফোর্সের হাতে। এই দলটি জঙ্গি সংগঠন কুর্দিস আর্মড গ্রুপের (ওয়াইপিজি) একটি সহযোগী সংগঠন।
কুর্দিস আমর্ড গ্রুপ আবার কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) একটি শাখা।
এই পিকেকে-কে তুরস্ক জঙ্গী সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে থাকে এবং তাদের নিষিদ্ধ করেছে।
কুর্দিস সন্ত্রাসীদের সরিয়ে দিতেই এ অভিযান চালানোর পরিকল্পনা করছেন এরদোগান।
কিন্তু আইএসআইএসকে মোকাবেলা করতে এই দলটির সঙ্গে সখ্যতা গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এরদোগানের এমন ইচ্ছার বিরোধীতা করে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন বলেন, ২০১৯ সালে যে যুদ্ধবিরতি হয়েছিল সেটিতেই যেন অটুট থাকেন এরদোগান।
তিনি বলেন, এটি এমন একটি বিষয় আমরা যেটির বিরোধীতা করি। আমাদের যে ভয় সেটি হলো এই অভিযান স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করবে। দুষ্কৃতিকারীরা স্থিতিশীলতা বিনষ্ট করতে সুযোগ পাবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা মিত্রদের মাধ্যমে সিরিয়ায় আইএসআইএসের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা চাই না কোনো কিছু আইএসআইএসকে আটকে রাখার এ প্রচেষ্টা বিনষ্ট করে দিক।
এদিকে বুধবার এরদোগান বলেন, উত্তর সিরিয়ার তাল রিফাত এবং মানবিজ থেকে জঙ্গিদের নির্মূল করবেন তারা। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো লক্ষ্যস্থানের কথা প্রকাশ করেন তিনি।
এরদোগান আরও জানান, অন্যন্য অঞ্চলেও অভিযান চালানো হবে। সূত্র: ডেইলি সাবাহ, ন্যাশনাল নিউজ (যুক্তরাষ্ট্র)।’ প্রতিবেদন:কেইউকে।