রূপঙ্করদার মন্তব্যে প্রচণ্ড বিব্রত, শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা তো থাকবে! ক্ষোভ ইমনের

V

রূপঙ্করদার মন্তব্যে প্রচণ্ড বিব্রত, শিল্পীদের মধ্যে

পারস্পরিক শ্রদ্ধা তো থাকবে! ক্ষোভ ইমনের

সিটিজিট্রিবিউন: বাঙালিরা বাংলার শিল্পীদের নিয়ে উন্মাদনায় ভোগেন না, এই অভিযোগও খণ্ডন করেছেন ইমন। দাবি, তিনি বাংলার মানুষের ভালবাসা পেয়েই এই জায়গায়। কেকে-র সমালোচনা করতে গিয়ে সোমবার বাংলার একাধিক শিল্পীর নাম উল্লেখ করেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী। তাঁদের মধ্যে অন্যতম ইমন চক্রবর্তী। কাকতালীয় ভাবে ঘটনার পরদিনই কলকাতায় অনুষ্ঠান করতে এসে আকস্মিক প্রয়াণ বলিউডের জনপ্রিয় গায়কের। পুরো ঘটনায় ইমন কি একটু হলেও বিব্রত? এক শিল্পীর প্রতি আর এক শিল্পীর কি এতটাও রূঢ়ভাষী হওয়া উচিত? বুধবার ইমনের কাছে জানতে চেয়েছিল আনন্দবাজার অনলাইন। জাতীয় পুরস্কারজয়ী শিল্পী বলেছেন, ‘‘লাইভে রূপঙ্করদা আমার নাম নিয়েছেন। সেটা সম্পূর্ণ ওঁর ব্যাপার। এ নিয়ে আমার কিচ্ছু বলাই সাজে না। কিন্তু রূপঙ্করদার এই ধরনের বক্তব্যে আমি যথেষ্ট বিব্রত।’’

ইমন নিজে কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের ভক্ত। দিন কয়েক আগে একসঙ্গে অনুষ্ঠানও করেছেন। এ ছাড়া, জি বাংলা সারেগামাপা-র গ্র্যান্ড ফিনালেতে বিশেষ অনুষ্ঠান করে গিয়েছেন কেকে। সব মিলিয়ে কাছ থেকেই দেখেছেন শিল্পীকে। সেই জায়গা থেকে ইমনের দাবি, ‘‘অত্যন্ত ভদ্র, ভাল মনের মানুষ ছিলেন। দিন কয়েক আগের অনুষ্ঠানে ওঁর আগে আমি গান গেয়েছি। সেদিন ওঁর যন্ত্রশিল্পীরা মঞ্চের পাশে দাঁড়িয়ে আমার অনুষ্ঠান দেখেছেন। মঞ্চ থেকে নেমে কেকে-র সঙ্গে দেখা করেছিলাম। দিলখোলা প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁকে এ ভাবে অকারণে ছোট করা বোধহয় ঠিক হয়নি।’’ গায়িকার মতে, শিল্পীদের মধ্যে পারস্পরিক সৌজন্য, সৌহার্দ্য, শ্রদ্ধা তো থাকবে!

একই সঙ্গে ইমন এ-ও বলেছেন, ‘‘কেকে যদি এ ভাবে না-ও চলে যেতেন, তা হলেও আমি রূপঙ্করদার বক্তব্যে এতটাই বিব্রত হতাম। এক জন শিল্পীর উপার্জন, জনপ্রিয়তা নিয়ে বোধহয় এ ভাবেও কটাক্ষ করা ঠিক নয়। এ সব যাঁর যাঁর কর্মফল।’’ সারা দেশে রূপঙ্কর বাগচীর অসংখ্য অনুরাগী। ইমন নিজেও শিল্পীর বড় ভক্ত। সেই জায়গা থেকে তাঁর উপলব্ধি, আদতে শিল্পী তাঁর অনুরাগীদের ভালবাসাকে অসম্মান করেছেন। বাঙালিরা নাকি বাংলা শিল্পীদের নিয়ে উন্মাদনায় ভোগেন না, রূপঙ্করের এই অভিযোগও খণ্ডন করেছেন ইমন। ‘প্রাক্তন’ ছবির গায়িকার দাবি, ‘‘আমি আজ যা, যতটুকু, সবটাই বাংলার মানুষের ভালবাসার ফল। ওঁরা আমার গান শুনছেন বলেই আমি আজও গাই। শহর থেকে শহরতলি, যখন যেখানে গিয়েছি, বাংলার অনুরাগী শ্রোতারা আমায় গ্রহণ করেছেন। একই মঞ্চে আগে-পরে আমি আর কেকে পারফর্ম করেছি। বাঙালি শ্রোতারা কিন্তু আমার গানও মনোযোগ দিয়েই শুনেছেন। ফলে কিছুতেই বলতে পারব না, বাংলার মানুষ আমায় ভালবাসেন না।’’

ফেসবুকে নিরাপত্তাহীনতা বা ক্ষোভের এই বহিঃপ্রকাশ কতটা বাঞ্ছনীয়? এই প্রশ্নও ছিল গায়িকার কাছে। ইমনের যুক্তি, ক্ষোভ বা নিরাপত্তাহীনতা সব পেশাতেই রয়েছে। রূপঙ্করের পাশাপাশি ইমন বা কেকে-ও নানা যন্ত্রণায় ক্ষতবিক্ষত। সেই জায়গা থেকে গায়িকার দাবি, এই যন্ত্রণা না থাকলে শিল্পী থেমে যাবেন। যত দিন না পাওয়ার যন্ত্রণা থাকবে তত দিন তিনি সৃষ্টি করে যাবেন।প্রতিবেদন:কেইউকে।

Leave a Reply