আয়াজ আহমাদ:চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানা ও পটিয়া থানাধীন এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১১,৬১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র্যাব-৭; চট্টগ্রাম, মাদক পরিবহনে ব্যবহৃত একটি বাস জব্দ।
র্যাব-৭ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদ্ঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।র্যাব-৭, চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার, মাদক উদ্ধার, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানা ও পটিয়া থানাধীন এলাকায় পৃথক দুইটি অভিযান চালিয়ে আনুমানিক ৫৮ লক্ষ টাকা মূল্যের ১১,৬১০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে। নিম্নে বিস্তারিত উল্লেখ করা হলোঃ
র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে ঢাকার দিকে যাচ্ছে। উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ০০৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭,চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড মডেল থানাধীন ভাটিয়ারী এলাকায় মাদামবিবির হাটস্থ সিটিজি ডিজিটাল স্কেলের সামনে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পশ্চিম পাশে র্পাকা রাস্তার উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি শুরু করে।
এ সময় র্যাব-৭ চেকপোস্টের দিকে আসা কক্সবাজার হতে ঢাকাগামী ‘‘শ্যামলী পরিবহন” এর একটি বাসকে তল্লাশীর জন্য থামানোর সংকেত দিলে বাসের ড্রাইভার বাসটিকে র্যাব-৭ চেকপোস্টের সামনে থামায়। বাসটি র্যাব-৭র চেকপোস্টের সামনে থামানোর সাথে সাথে র্যাব-৭ সদস্যরা গাড়ি তল্লাশীর উদ্দেশ্যে উক্ত যাত্রিবাহী বাসে উঠে সিটে বসে থাকা সকল যাত্রীদের গতিবিধি অবলোকন করে এবং উক্ত বাসের দুই জন যাত্রীর গতিবিধি ও কথাবার্তায় সন্দেহভাব প্রকাশ পাওয়ায় র্যাব-৭ সদস্যরা আসামি ১। ফাতেমা খাতুন (৩৫), পিতা- মৃত মোঃ হোসেন এবং ২। জাহাঙ্গীর আলম (৪০), পিতা- মৃত নাজির আহমেদ, উভয় সাং- নেংগুর বিল, তুলাতলী, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজারদের’কে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামীদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তাদের দেখানো ও শনাক্ত মতে ০১ নং আসামীর নিজ হেফাজতে থাকা ভ্যানিটি ব্যাগের ভিতর সু-কৌশলে লুকানো অবস্থায় ১,৭৬০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীদের গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৭ চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, কতিপয় মাদক ব্যবসায়ী একটি যাত্রীবাহী বাসযোগে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য নিয়ে কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামের দিকে আসছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে অদ্য ১৬ জানুয়ারি ২০২১ ইং তারিখ ১১৪০ ঘটিকায় র্যাব-৭ চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল চট্টগ্রাম জেলার পটিয়া থানাধীন ইন্দ্রপোল বাইপাস মোড়স্থ হাম কনভেনশন সেন্টার এর পাশে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপর একটি বিশেষ চেকপোস্ট স্থাপন করে গাড়ি তল্লাশি করতে থাকে।
এসময় র্যাব-৭র চেকপোস্টের দিকে আসা কক্সবাজার হতে চট্টগ্রামগামী ‘‘হানিফ পরিবহন” এর একটি গাড়ি র র্যাব-৭ উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাব-৭বের চেক পোস্টের অদূরে গাড়ি থামিয়ে, গাড়ি থেকে নেমে একজন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে র্যাব-৭ব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি ড্রাইভার সিকান্দর বাদশা (৪৬), পিতা- আহমদ কবির, সাং- মিয়াজান কাজীর পাড়া, থানা- লোহাগাড়া, জেলা- চট্টগ্রাম’কে আটক করে।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামিকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে তার দেখানো ও শনাক্ত মতে বাসটির স্টিয়ারিং এর ড্যাশবোর্ডের ভিতর সু-কৌশলে লুকানো অবস্থায় ৯,৮৫০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতার করা হয় এবং উক্ত বাসটি জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, তারা দীর্ঘ দিন যাবত কক্সবাজার জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে পরবর্তীতে অভিনব কৌশলে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মাদক ব্যবসায়ীদের নিকট বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ৫৮ লক্ষ টাকা এবং জব্দকৃত বাসের আনুমানিক মূল্য ০১ কোটি টাকা।
গ্রেফতারকৃত আসামি এবং উদ্ধারকৃত মালামাল সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড ও পটিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।