নিত্যপন্যের লাগামহীন উর্ধ্বগতির কারনে জনগন চোখে সরষেফুল দেখছে মন্তব্য করে বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেছেন, কালোবাজারী সিন্ডিকেটের ওপর সরকারের কোন নিয়ন্ত্রন নেই বরং কালোবাজারী সিন্ডিকেট চক্র সরকারকে নিয়ন্ত্রন করছে। তারা নানা অজুহাত সৃষ্টি করে জনগনের পকেট কাটছে। সরকারের টিসিবি, ট্যারিফ কমিশন ও ভোক্তা অধিকার নামক একাধিক প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম চরম সীমিত পর্যায়ে রয়েছে। লোকবল সংকট, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতির কারনে তাদের কর্মকান্ড মুখ থুবড়ে পরেছে। বর্তমানে করোনা, বন্যা পরিস্থিতি, নদী ভাঙ্গন ও প্রবাসীদের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কারনে কোটি কোটি লোক বেকার ও কর্মহীূন হওয়ায় জনমনে উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এরই মধ্যে চাল পিয়াজ ভোজ্যতেল সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমুল্যের আকাশচুম্বি উর্ধ্বগতি জনর্দুভোগকে আরেক দফা বাড়িয়ে দিয়েছে। ধনী গরিবের শ্রেনী বৈসাম্য প্রকট আকার ধারন করছে। নিম্নশ্রেনী ও অসহায় দুঃস্থ্যরা কাজকর্ম ও মানুষের সহযোগীতা নিয়ে চলতে পারলেও সংখ্যাগরিষ্ট মধ্যবিত্ত শ্রেনী চরম দুঃসময় অতিক্রম করছে। মধ্যবিত্ত শ্রেনীর বুকফাটা কান্না শোনার কেউ নেই। বর্তমানে সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সরকার দলীয় এমপি-মন্ত্রী, নেতা-কর্মীরা ছাড়া কেউ ভালো নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকারী মদদে দেশের সম্পদ লুটপাট ও পাচার হচ্ছে। সীমাহিন দুর্নীতি, দলীয়করন ও আত্মীয়করনের মাধ্যমে বিগত ১৪ বছরে সরকার দেশের অর্থনীতি, রাজনীতি ও সামাজিক সাংস্কৃতিকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করেছে।
তিনি আজ ২৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বেলা ১১ টায় স্থানীয় জামান হোটেলে চট্টগ্রাম মহানগর লেবার পার্টির কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
চট্টগ্রাম মহানগর লেবার পার্টির সভাপতি আলাউদ্দিন আলীর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক আফসার উদ্দিনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন লেবার পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার ফরিদ উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সভাপতি কামাল উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিন জেলা সভাপতি ডাঃ জুনু মিয়া, ফেনী জেলা সভাপতি আবদুল আলী বাহার, মহানগর সিনিয়র সহ-সভাপতি আবসার আলী সেলিম, সাংগঠনিক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক জসিম উদ্দিন, যুবমিশন কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহবায়ক আখতারুজ্জামান বাবু ও ছাত্রমিশনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি ইকবাল মাহমুদ প্রমুখ।
সভায় আগামী ২২ অক্টোবর চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টির ৪৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষীকিতে কেক কাটা ও আলোচনা সভা করার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। বিজ্ঞপ্তি