সি টি জি ট্রিবিউন চট্টগ্রাম-২৩ জুলাই- ২০২০ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ঈদ-উল-আযহা মুসলমান ধর্মাবলল্বীদের দ্বিতীয় প্রধান ঈদ। এই ঈদে আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে আমরা পশু কোরবানী করে থাকি। কিন্তু প্রতিবারের মত আমরা এবার ঈদ পালন করতে পারছিনা। করোনা কারনে এবার সামাজিক দূরত্ব বজিয়ে জীবানু সংক্রমণ থেকে বেঁচে থেকে কোরবানীর পশুর হাটে অংশগ্রহণ করতে হচ্ছে।
তাই সকলেই বাধ্যতামূলক মাক্স পরিধান ও ভীড় এড়িয়ে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য সকলকে সচেতন হতে হবে। মেয়র বলেন ধর্মীয় রীতিনীতি ও সামাজিক আনুষ্ঠানিকতা পালনে যা না করলেই নয়, শুধুমাত্র সেটাতেই সীমাবদ্ধ থাকতে হবে। এবারে উৎসবের আড়ম্বরতা বাদ দিয়ে পবিত্র ঈদ-উল আযহায় আল্লাহর উদ্দেশ্য পশু কোরবাণী দেয়াটাই যথেষ্ট।
এই বিষয়টি মাথায় রেখে ঈদুল আযহার আগেই পশুর হাটগুলো বসানোর ক্ষেত্রে আবশ্যিক ব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামো ছাড়া অন্য সকল আড়ম্বর ও লোক সমাগম এড়িয়ে চলা ও নিয়ন্ত্রনে রাখার জন্য ইজারাদার, ক্রেতা-বিক্রেতা, প্রশাসন ও চসিকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন করোনাকালে নগরীতে চসিক নির্ধারিত কোরবাণী পশুর হাটগুলোতে ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধক সুষ্ঠুব্যবস্থাপনার আওতায় এনে স্বাস্থ্য বিধি মেনে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক পশু বেঁচা-কেনার সুশৃংখল ও স্বাস্থ্য বান্ধব পরিবেশ রক্ষায় চসিক সর্বোচ্চ সর্তকতা, পর্যবেক্ষণ, অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা ও বর্জ্য অপসারণের সার্বক্ষণিক ব্যবস্থাসহ প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
সর্বপরি সামাজিক দূরত্ব বজায় ও অহেতুক লোক সমাগম এড়িয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পশু বেঁচা- কেনা পর্ব সম্পন্ন করার বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীতে চসিকের অনুমোদিত ইলিয়াস ব্রাদার্স মাঠ নুর নগর হাউজিং এস্টেট পশুর বাজার পরিদর্শনকালে মেয়র এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, করোনাকালে উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি বিবেচনায় পারিবারিক, সামাজিক ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান এবং রীতিনীতি পালনের ধরণ পাল্টে গেছে।
চাল-চলনে শৃংখলা, সংযম, সচেতনতা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্রমণ প্রতিরোধের বিষয়টি উদ্বিগ্ন পরিস্থিতি মোকাবেলার পূর্বশর্ত। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, পশুরহাট ব্যবস্থাপনার সাথে যারা সংশ্লিষ্ট, যাদের যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তা তারা শতভাগ পালন করবেন। পরিদর্শনকালে কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, আলহাজ্ব মোহাম্মদ রহিম সওদাগর,
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খোন্দকার, আলহাজ্ব মো. তসকির আহমদ, মোহাম্মদ আলী আব্বাস তালুকাদর, হাজী মোহাম্মদ ইলিয়াছ, হাজী মোহাম্মদ দেলোয়ার, মো. তৌহিদুল আলম পিবলু, সাজেদুল আলম মিল্টন উপস্থিত ছিলেন।