সি টি জি ট্রিবিউন আবেদ আলী স্টাফ রিপোর্টারঃপ্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়ন জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলসভাবে খাদেম হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার খুটামারা ইউপি চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আ.লীগ জাতীয় শ্রমিক লীগ নীলফামারী জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবু সাঈদ শামীম।
তিনি গত ১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে ২য় বারের মতো ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। মানুষের সেই ভালবাসার ঋন পরিশোধে প্রাণঘাতী করোনার মহামারীতে ঘরে না থেকে সার্বক্ষণিক পাশে রয়েছেন তার ইউনিয়নবাসির। চলমান করোনা ভাইরাসে অসহায় দুস্থ মানুষগুলোর মাঝে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে অবিরাম ছুটে বেড়ান ওই চেয়ারম্যান।
দেশে কোন প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে অসহায় এবং
কর্মহীন হয়ে পরে এ অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ।
আর তাদের খোঁজখবর নিয়ে সহায়তা করাটাও দায়িত্বের মধ্যে পড়ে প্রতিটি বিত্তবানদের।
সারা বিশ্বের প্রতিটি দেশে আঘাত হানা প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে বাংলাদেশেও মহামারিতে পরিনত হওয়ায় সরকারের পাশাপাশি ব্যক্তিগত ভাবেও ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রেখেছেন চেয়ারম্যান শামীম।
গেলো ঈদেও সরকারি ত্রাণ এবং প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো উপহার সামগ্রী সহ তার ব্যক্তিগত অর্থায়নে দুই হাজার পরিবারের মাঝে সেমাই, চিনি, দুধ ও সাবান বিতরণ করেন। যা এখন পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের গরীব অসহায়দের জন্য তার দানের হাত বাড়ানো মানবতার পরিচয় বহন করে। আর এসবক্ষেত্রে উৎসাহিত যোগান তারই ছোট ভাই নীলসাগর গ্রুপ পরিচালক আবু সালেহ সোহেল রানা। ত্রাণ কোনও ভিক্ষা নয়,
এটি অসহায় দুস্থ মানুষের অধিকার।
দেশের বিভিন্ন এলাকায় কিছু জনপ্রতিনিধি ত্রান চুরির দায়ে বরখাস্ত হলেও এক্ষেত্রে সম্পুর্ন ব্যতিক্রম দেখিয়েছেন জলঢাকার খুটামারা ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শামীম। মৃত্যুর ভয়কে উপেক্ষা করে গরীব অসহায় মানুষের দুয়ারে দুয়ারে সরকারি এবং ব্যাক্তিগত ত্রাণ সহায়তা পৌঁছে দেন তৃণমূল রাজনীতি থেকে উঠে আসা ওই আলোকিত চেয়ারম্যান। দেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব দেখা দেওয়ার পর থেকেই নিজ ইউনিয়নে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক প্রচার, লিফলেট ও মাস্ক বিতরন সহ সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে প্রচার প্রচারণায় তার ভুমিকা প্রশংসিত।
তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সেতু, কালভার্ট ও রাস্তার সংস্কার এবং বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা সহ জনসাধারণের জন্য সকল প্রকার সুযোগ সুবিধা প্রদানে তার ভুমিকা সন্তোষজনক এমনটায় জানান তার কিছু সমর্থকরা।
গত সপ্তাহে তিনি ২০১৯-২০ইং অর্থ বছরের এডিপির বরাদ্দ হতে তার ইউনিয়নের ৯৭জন কৃষকের মাঝে স্প্রে মেশিন বিতরন করেন।
এছাড়াও ব্যাক্তিগত উদ্যোগ অব্যাহত রয়েছে তার দান খয়রাত। এবিষয় কথা হয়, খুটামারা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আফজালুল হক আপনের সাথে। সে জানায়, কোথাও থেকে ফোন এলেই আর বসে থাকেন না, ছুটে যান চেয়ারম্যান। যেমন গতকাল ইউনিয়নটির দু’টি ওয়ার্ড হরিশচন্দ্র পাঠ ও বামনাবামনীতে চারাল কাটা নদীর ভাঙ্গনে বেশকয়েকটি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চেয়ারম্যান ফোন পেয়ে তাত্ক্ষণিক সেখানে গিয়ে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে প্রত্যেককে ব্যক্তিগতভাবে নগদ অর্থ সহায়তা করেছেন।
ওই এলাকার কৃষক মাজদুল জানায়,
মানুষের মধ্যে দোষগুণ থাকবে,
তবে এটা বলতে হবে একজন চেয়ারম্যান হিসেবে যা গুন থাকা দরকার তাই আছে তার মধ্যে। এবারে চেয়ারম্যান হবার পর থেকেই এলাকার কাজকাম করেছে এবং গরীব মানুষকে অনেক দান খয়রাত করছে। আমাকেও একটা কৃষিযন্ত্র স্প্রে মেশিন দিয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল বলেন, দেশে যখন চেয়ারম্যান মেম্বার কর্তৃক ত্রান চুরির ঘটনা ঘটছে সেখানে খুটামারা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শামীম এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সরকারি ত্রাণ সহ তার ব্যাক্তিগত ভাবে বিপুল সংখ্যক মানুষকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করে চলেছেন। তার কর্মকান্ড সন্তোষজনক বলে আমি মনে করি।
প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান বলেন,
নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নের সর্বত্র কাজ করে যাচ্ছেন চেয়ারম্যান শামীম। কৃষক জেলে শ্রমিক সহ নানান পেশার মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাড়াচ্ছেন। এছাড়াও তিনি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের সাথে নিয়ে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড গুলো পরিচালনা করছেন।
এবিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ শামীম বলেন, স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই উন্নয়ন-অগ্রগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সেই উন্নয়নের সহযোগী হয়ে খুটামারা ইউনিয়নে কাজ করে যাচ্ছি। আমাকে ২য় বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত করায় ইউনিয়নবাসীর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
তাদের প্রত্যাশা পুরণে সবসময় সেবা দিয়ে পাশে থেকে কাজ করে যেতে চাই এবং প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকারের ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায় দুস্থ মানুষের মাঝে সরকারের ত্রাণ সামগ্রী এবং আমার ব্যক্তিগত সহায়তা যথাসময়ে তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ফলে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত ভাল আছে এই ইউনিয়নের মানুষ।