বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বঙ্গমাতা’র অবিস্মরণীয় অবদান: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:৪৬:১৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২
- / ৫০৪ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বঙ্গমাতা’র অবিস্মরণীয় অবদান: যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
আয়াজ সানি সিটিজি ট্রিবিউন ঢাকা, ৮ আগষ্ট ২০২২
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো: জাহিদ আহসান রাসেল এমপি বলেছেন- বাঙালি জাতির সুদীর্ঘ স্বাধিকার আন্দোলনের প্রতিটি পদক্ষেপে বঙ্গবন্ধুকে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় চেতনাকে আরও শাণিত করেছেন এই মহীয়সী নারী।
বঙ্গবন্ধুকে নেতা, পিতা ও স্বামী হিসেবে পূর্ণতা এনে দিয়েছিলেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ‘বঙ্গবন্ধু’ হয়ে ওঠার পেছনে রয়েছে বঙ্গমাতা’র অবিস্মরণীয় অবদান। তিনি বলেন, ‘বঙ্গমাতা রাজনীতির নানা দুঃসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুকে দিয়েছিলেন গঠনমূলক পরামর্শ।
তাঁর বলিষ্ঠ ও সময়োপযোগী পরামর্শ জাতির জীবনে সুফল বয়ে এনেছে, যা জাতীয় ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।’ তিনি আজ দুপুরে সচিবালয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দীর্ঘ আপসহীন লড়াই-সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ধীরে ধীরে শুধুমাত্র বাঙালি জাতির পিতাই নন, বিশ্ববরেণ্য রাষ্ট্রনায়কে পরিণত হয়েছিলেন।
এর পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তারই সহধর্মিণী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব।বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের ধারাবাহিক ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ তিনি। সরাসরি রাজনীতির সাথে যুক্ত না থেকেও বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রেরণার সবচেয়ে বড় উৎস ছিলেন বেগম মুজিব।
জীবনের শেষমুহূর্ত পর্যন্ত তিনি জাতির পিতার পাশে থেকে দেশ ও জাতির মঙ্গলাকাঙ্ক্ষায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। তার কর্মের মাধ্যমে তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন একটি সংগ্রামমুখর জীবনের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। যে জীবন কোটি জীবনের আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের সাথে দ্বিধাহীনভাবে যুক্ত হয়েছিল ত্যাগ ও নিপীড়ন মোকাবেলা করবার দৃপ্ত প্রতিজ্ঞায়।
তরুণ প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, বঙ্গমাতাকে জানতে হলে বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও ‘কারাগারের রোজনামচা’ গ্রন্থ দুটি সকলেরই পাঠ করা উচিত।
গ্রন্থ দুটির সূত্র ধরে গবেষণা করলে বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্পর্কে আরও অজানা তথ্য জানা যাবে, যা আমাদের ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করবে, জাতিকে ইতিহাস বিকৃতির হাত থেকে রক্ষা করবে।
আলোচনা সভায় যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আজ সকালে মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর ৯২তম জন্মবার্ষিকীতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি।
এ সময়ে যুব ও ক্রীড়া সচিব মেজবাহ উদ্দিনসহ মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।