সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব? দূর্গাপূজা উপলক্ষে র‍্যাবের রোবাস্ট পেট্রোলিং ও চেকপোস্ট
রাজনীতির সকল সংবাদ ::

সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায়-প্রতিমন্ত্রী খালিদ

  • Ayaz Ahmed
  • আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২
  • ৫৩৯ বার পড়া হয়েছে

সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায়-প্রতিমন্ত্রী খালিদ

 

আয়াজ সানি সিটিজি ট্রিবিউন ঢাকা, ১ জুলাই ২০২২

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীএমপি বলেছেন,পঁচাত্তর পরবর্তি সময়ে দৈনিক সংবাদ পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম লিখেছে কিন্তু এখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম বলে চোখের পানি ভাসাইয়া ফেলে কিন্তু অনেকেই ভয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম লেখে নাই।

প্রতিমন্ত্রী গতরাতে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি মিলনায়তনে ‘বার্তা প্রবাহ’ এর ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বার্তা প্রবাহ’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম‍্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ, শিশু সংগঠক লায়ন মজিবুর রহমান হাওলাদার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাত্তর পরবর্তি দৈনিক সংবাদ পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম লিখেছে কিন্তু অনেক অনেক পত্রিকা আছে যারা এখন চোখ ভাসিয়ে দেয় তারা কিন্তু বঙ্গবন্ধু লিখতে ভয় পেয়েছে। কাজেই সাংবাদিকদের সেই সাহসিকতাটা তো থাকা দরকার।

তিনি বলেন, আমরা জানি সাংবাদিকরা বুলেটের মুখের মধ্যে ছিল, সামরিক জান্তার বুলেটের মুখে ছিল। যে দেশের রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নাই সে দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কোথায় থাকবে! তারপরেও সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায় রাখে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন রাজনীতি করেছেন তখন সন্তোষ গুপ্ত, এবিএম মূসাদের যে ভূমিকা সেই ভূমিকাকে কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর জন্য কেন করেছেন।

কারণ তারা মনে করেছেন বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তি দাতা, বঙ্গবন্ধুই পারবে এই জাতিকে মুক্তি দিতে, বঙ্গবন্ধুই পারবে আমাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই যে বিশ্বাস, এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছিল কারন সমগ্র সাংবাদিক মহল বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল। আজকে এই জায়গাটা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের সাংবাদিক বন্ধুরা শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ মনে করে এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তারাও কিন্তু দিন শেষে বলে শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নাই। এটাই কিন্তু সত্য।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি এই গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা এবং সঠিকভাবে গণমাধ্যম যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেগুলোর জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলো। প্রেস ইন্সটিটিউট- জাতির পিতার হাতেই গড়া। এবং আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি এবং আমরা দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করি, আমরা মনে করি এবং বিশ্বাস করি গণমাধ্যম রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভ। চতুর্থ স্তম্ভ।

এবং আপনারা দেখেছেন গত ১৩ বছর যাবৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে ৩ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছেন। এই ৩ মেয়াদে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।কথা বলেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু কোনো গণমাধ্যমের পথ আগলে দেই নাই। বা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করে দেই নাই। কিন্তু গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব আছে৷ দেশমাতৃকার পক্ষে কথা বলা এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা। যেহেতু এখন বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে কাজেই গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস পড়তে আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো, এখন কয়েক মিনিটও অপেক্ষা করতে হয় না। সমগ্র পৃথিবী যুক্ত হয়ে গেছে। আমরা একমাত্র বিবিসি আর ভয়েস অব আমেরিকার নাম জানতাম সাধারণ মানু্ষ। তিনি বলেন, এখন মানুষ পৃথিবীর অনেক প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়ার নাম জানে। সব কিছুর সাথে এত বেশি যুক্ত, কাজেই বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে এই যে গ্লোবাল ভিলেজ আমরা বলছি এটার সঙ্গে আমরা যদি চলতে চাই, গণমাধ্যমের ভূমিকা সেভাবেই রাখতে হবে।

নাহলে কিন্তু পাঠকদের কাছে আমরা ধরা খেয়ে যাবো। কারণ এখন এত বেশি জানার সুযোগ হয়ে গেছে, যারা আগে উচ্চতর লেখাপড়া করতো, সেই পরিমাণ প্রকাশনা ছিলো না, বই পুস্তক পেতাম না। সবার একমাত্র অবলম্বন ছিলো ব্রিটিশ কাউন্সিল। যেখানে গিয়ে আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হতো। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমাদের সময়ে দেখেছি একটা সিরিয়াল বা লাইন পাওয়া অনেক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিলো, বা একটা বইয়ের কাছে যাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার ছিলো। এখন কিন্তু ব্রিটিশ কাউন্সিলে সেরকম চাপ নাই। কারণ ডিজিটাল হয়ে যাওয়া কারণে পৃথিবীর যত বড় বড় লাইব্রেরি আছে সেখানে আমরা যেতে পারছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৩ বছর দেশ পরিচালনা করছেন, প্রতিপক্ষ কিন্তু অনেক আছেন। এই ১৩ বছরে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ মনে করে নাই যে এই কর্মসূচিগুলো বা এই কথাগুলো আমাদের জন্য।

তিনি বলেন, মানুষ মনে করেছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে কথাগুলো বলছেন, যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছেন, যেই কাজগুলো করছেন এগুলা দেশের জন্য, জাতির জন্য এবং জনগণের জন্য উন্নয়ন হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

আমাদের পৃথিবীতে আমরা যত এগিয়ে যাবো তত আমাদের চ্যালেঞ্জ আরো বেশি থাকবে। পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে মানে আমাদের চ্যালেঞ্জ শেষ। পদ্মা সেতু হয়েছে তার মানে আমাদের চ্যালেঞ্জ শেষ না। আমাদের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ আমরা বলেছি পদ্মা সেতু আমাদের জিডিপিতে প্রায় ২% ভূমিকা রাখবে।

সেই চ্যালেঞ্জ যদি আমরা মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়ে যাবো। আমাদের সামনে কিন্তু আরো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা বলছি যে আমরা ৪১ সালে উন্নত দেশ হবো, সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আছে। সেটি মোকাবেলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য যা করেছেন এটা ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে সাংবাদিকদের জন্য এত কিছু কেউ করেন নাই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে তার কর্মী হিসাবে আমি বলছি একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি কতটুকু আন্তরিক, যারা সিনিয়র সাংবাদিক, তার সঙ্গে কাজ করেছেন তারা জানে যে তিনি কতটুকু আন্তরিক।

তিনি কতটুকু গণমাধ্যমবান্ধব সেটা কিন্তু আমরা তার কর্মকাণ্ডে পাই। এই কোভিডকালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে তিনি যেভাবে দাড়িয়েছেন এবং সাংবাদিকদের জন্য যেভাবে তিনি একটি ফাণ্ড গঠন করে দিয়েছে৷ এটা কিন্তু অতীতে কোনো সরকার করেনি।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

‘সিআইডি’ খ্যাত ফ্রেড্‌রিকস হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হননি, আসল খবর জানালেন দয়া

সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায়-প্রতিমন্ত্রী খালিদ

আপডেট সময় : ০৬:২১:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায়-প্রতিমন্ত্রী খালিদ

 

আয়াজ সানি সিটিজি ট্রিবিউন ঢাকা, ১ জুলাই ২০২২

 

নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীএমপি বলেছেন,পঁচাত্তর পরবর্তি সময়ে দৈনিক সংবাদ পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম লিখেছে কিন্তু এখন অনেকেই বঙ্গবন্ধুর নাম বলে চোখের পানি ভাসাইয়া ফেলে কিন্তু অনেকেই ভয়ে বঙ্গবন্ধুর নাম লেখে নাই।

প্রতিমন্ত্রী গতরাতে রাজধানীর তোপখানা রোডের একটি মিলনায়তনে ‘বার্তা প্রবাহ’ এর ১৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

বার্তা প্রবাহ’র সম্পাদক ও প্রকাশক মোহাম্মদ মনির হোসেন কাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন‍্যান‍্যের মধ‍্যে বক্তব‍্য রাখেন এশিয়ান টেলিভিশনের চেয়ারম‍্যান বিশিষ্ট শিল্পপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ, শিশু সংগঠক লায়ন মজিবুর রহমান হাওলাদার ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ সভাপতি মানিক লাল ঘোষ।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, পচাত্তর পরবর্তি দৈনিক সংবাদ পত্রিকা বঙ্গবন্ধুর নাম লিখেছে কিন্তু অনেক অনেক পত্রিকা আছে যারা এখন চোখ ভাসিয়ে দেয় তারা কিন্তু বঙ্গবন্ধু লিখতে ভয় পেয়েছে। কাজেই সাংবাদিকদের সেই সাহসিকতাটা তো থাকা দরকার।

তিনি বলেন, আমরা জানি সাংবাদিকরা বুলেটের মুখের মধ্যে ছিল, সামরিক জান্তার বুলেটের মুখে ছিল। যে দেশের রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা নাই সে দেশে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা কোথায় থাকবে! তারপরেও সাংবাদিকদের সাহসী ভূমিকা একটা জাতিকে বদলায় রাখে। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব যখন রাজনীতি করেছেন তখন সন্তোষ গুপ্ত, এবিএম মূসাদের যে ভূমিকা সেই ভূমিকাকে কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না। সাংবাদিকরা বঙ্গবন্ধুর জন্য কেন করেছেন।

কারণ তারা মনে করেছেন বঙ্গবন্ধু আমাদের মুক্তি দাতা, বঙ্গবন্ধুই পারবে এই জাতিকে মুক্তি দিতে, বঙ্গবন্ধুই পারবে আমাদের অধিকারকে প্রতিষ্ঠা করতে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই যে বিশ্বাস, এই বিশ্বাসটা তৈরি হয়েছিল কারন সমগ্র সাংবাদিক মহল বঙ্গবন্ধুর সাথে ছিল। আজকে এই জায়গাটা তৈরি হয়েছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশের সাংবাদিক বন্ধুরা শুধু নয়, সমগ্র বাংলাদেশের মানুষ মনে করে এমনকি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে তারাও কিন্তু দিন শেষে বলে শেখ হাসিনার বিকল্প বাংলাদেশে নাই। এটাই কিন্তু সত্য।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তিনি এই গণমাধ্যমের স্বচ্ছতা এবং সঠিকভাবে গণমাধ্যম যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেগুলোর জন্য অনেক উদ্যোগ নিয়েছিলো। প্রেস ইন্সটিটিউট- জাতির পিতার হাতেই গড়া। এবং আমরা যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি এবং আমরা দেশটাকে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করি, আমরা মনে করি এবং বিশ্বাস করি গণমাধ্যম রাষ্ট্রের একটি স্তম্ভ। চতুর্থ স্তম্ভ।

এবং আপনারা দেখেছেন গত ১৩ বছর যাবৎ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার সরকার ধারাবাহিকভাবে ৩ মেয়াদে দেশ পরিচালনা করছেন। এই ৩ মেয়াদে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গণমাধ্যম অনেক ইতিবাচক-নেতিবাচক ভূমিকা রেখেছে।কথা বলেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা কিন্তু কোনো গণমাধ্যমের পথ আগলে দেই নাই। বা কোনো গণমাধ্যম বন্ধ করে দেই নাই। কিন্তু গণমাধ্যমেরও দায়িত্ব আছে৷ দেশমাতৃকার পক্ষে কথা বলা এবং দেশকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা রাখা। যেহেতু এখন বাংলাদেশ এখন ডিজিটাল হয়ে গেছে কাজেই গণমাধ্যমের দায়িত্বও অনেক বেড়ে গেছে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিউইয়র্ক টাইমস পড়তে আমাদের কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো, এখন কয়েক মিনিটও অপেক্ষা করতে হয় না। সমগ্র পৃথিবী যুক্ত হয়ে গেছে। আমরা একমাত্র বিবিসি আর ভয়েস অব আমেরিকার নাম জানতাম সাধারণ মানু্ষ। তিনি বলেন, এখন মানুষ পৃথিবীর অনেক প্রিন্টিং মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া, অনলাইন মিডিয়ার নাম জানে। সব কিছুর সাথে এত বেশি যুক্ত, কাজেই বিশ্বায়নের ক্ষেত্রে এই যে গ্লোবাল ভিলেজ আমরা বলছি এটার সঙ্গে আমরা যদি চলতে চাই, গণমাধ্যমের ভূমিকা সেভাবেই রাখতে হবে।

নাহলে কিন্তু পাঠকদের কাছে আমরা ধরা খেয়ে যাবো। কারণ এখন এত বেশি জানার সুযোগ হয়ে গেছে, যারা আগে উচ্চতর লেখাপড়া করতো, সেই পরিমাণ প্রকাশনা ছিলো না, বই পুস্তক পেতাম না। সবার একমাত্র অবলম্বন ছিলো ব্রিটিশ কাউন্সিল। যেখানে গিয়ে আমাদের জ্ঞান অর্জন করতে হতো। ব্রিটিশ কাউন্সিলে আমাদের সময়ে দেখেছি একটা সিরিয়াল বা লাইন পাওয়া অনেক দুঃসাধ্য ব্যাপার ছিলো, বা একটা বইয়ের কাছে যাওয়া অনেক কঠিন ব্যাপার ছিলো। এখন কিন্তু ব্রিটিশ কাউন্সিলে সেরকম চাপ নাই। কারণ ডিজিটাল হয়ে যাওয়া কারণে পৃথিবীর যত বড় বড় লাইব্রেরি আছে সেখানে আমরা যেতে পারছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ধারাবাহিকভাবে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা ১৩ বছর দেশ পরিচালনা করছেন, প্রতিপক্ষ কিন্তু অনেক আছেন। এই ১৩ বছরে অনেক ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা করছে কিন্তু জনগণ সাড়া দেয়নি। কারণ জনগণ মনে করে নাই যে এই কর্মসূচিগুলো বা এই কথাগুলো আমাদের জন্য।

তিনি বলেন, মানুষ মনে করেছে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যে কথাগুলো বলছেন, যে কর্মসূচিগুলো দিচ্ছেন, যেই কাজগুলো করছেন এগুলা দেশের জন্য, জাতির জন্য এবং জনগণের জন্য উন্নয়ন হচ্ছে আমরা দেখতে পাচ্ছি।

আমাদের পৃথিবীতে আমরা যত এগিয়ে যাবো তত আমাদের চ্যালেঞ্জ আরো বেশি থাকবে। পৃথিবী আধুনিক হচ্ছে মানে আমাদের চ্যালেঞ্জ শেষ। পদ্মা সেতু হয়েছে তার মানে আমাদের চ্যালেঞ্জ শেষ না। আমাদের চ্যালেঞ্জ বাড়িয়ে দিয়েছে। কারণ আমরা বলেছি পদ্মা সেতু আমাদের জিডিপিতে প্রায় ২% ভূমিকা রাখবে।

সেই চ্যালেঞ্জ যদি আমরা মোকাবেলা করতে না পারি তাহলে কিন্তু আমরা ব্যর্থ হয়ে যাবো। আমাদের সামনে কিন্তু আরো অনেক বড় চ্যালেঞ্জ আছে। আমরা বলছি যে আমরা ৪১ সালে উন্নত দেশ হবো, সেই চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে আছে। সেটি মোকাবেলার জন্য আমাদের কাজ করতে হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা সাংবাদিকদের জন্য যা করেছেন এটা ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট এ বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পরে সাংবাদিকদের জন্য এত কিছু কেউ করেন নাই। আমি ব্যাক্তিগতভাবে তার কর্মী হিসাবে আমি বলছি একজন রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তিনি সাংবাদিকদের প্রতি কতটুকু আন্তরিক, যারা সিনিয়র সাংবাদিক, তার সঙ্গে কাজ করেছেন তারা জানে যে তিনি কতটুকু আন্তরিক।

তিনি কতটুকু গণমাধ্যমবান্ধব সেটা কিন্তু আমরা তার কর্মকাণ্ডে পাই। এই কোভিডকালীন সময়ে সাংবাদিকদের পাশে তিনি যেভাবে দাড়িয়েছেন এবং সাংবাদিকদের জন্য যেভাবে তিনি একটি ফাণ্ড গঠন করে দিয়েছে৷ এটা কিন্তু অতীতে কোনো সরকার করেনি।