রাঙামাটিতে ভয়াবহ আগুনে কয়েকটি বসত ঘরসহ ৬৯টি দোকান পুড়ে গেছে
সিটিজি ট্রিবিউন মুহাম্মদ ইলিয়াস, ২১,রাঙামাটি ;
রাঙামাটি থেকে দেড়শ কিলোমিটার দূরের দূর্গম বাঘাইছড়ি উপজেলার খেদারমারা ইউনিয়নের দূরছড়ি বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বাড়িসহ ৬৯টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রাথমিক ভাবে ১০কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানান।
বৃহস্পতিবার (২১জুলাই) সকাল ৯টার দিকে দূরছড়ি বাজারের মিন্টুর পেট্রোল পাম্পের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুন লাগার মুর্হুতের মধ্যে আগুনের লেলিহান শিখায় পাশে থাকা বসতবাড়ি, গ্যাস সিলিন্ডারের দোকান, মুদি মালের দোকান, কাঁচামালের দোকানসহ ৬৯টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আরো কয়েকটি দোকানের আংশিক ক্ষতি হয়। আগুনে অনেক ব্যবসায়ী সর্বস্ব হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান।
এদিকে আগুন লাগার খবর পেয়ে দূরছড়ি আর্মি, পুলিশ, লংগদু সেনাবাহিনী ও স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে প্রাণপণ চেষ্টার পরও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে পরে খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে প্রায় ৩ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
ব্যবসায়ী ও স্থানীয় লোকজন জানান, সকাল ৯টার দিকে মিন্টুর পেট্রোল পাম্পের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুন লাগার সাথে সাথে চারদিক ছড়িয়ে পড়লে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। অপরদিকে আগুন নিভাতে পানির সংকট ছিল বেশী। তেলের দোকানের আগুন ছড়িয়ে গিয়ে গ্যাসের দোকান জ্বলছে তাই অনেক চেষ্টার পরেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিলো না।
একটু পর পরই বিকট শব্দে গ্যাসের সিলিন্ডার ফুটছে। যার কারনে লোকজন আগুনের কাছেও যেতে পারছে না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ মইন জানান, আগুনের তীব্রতা অনেকটা ভয়াবহ। আগুন গোটা বাজার চেয়ে গেছে। গ্যাস সিলিন্ডারের দোকানেও আগুন লেগেছে যার কারনে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছিলো না।
ধারনা করা হচ্ছে ৬৯ টি দোকান ও দোকান লাগোয়া বসত ঘর পুড়ে গেছে। অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে দূরছড়ি বাজার ব্যবসায়ীদের। গত এক বছরে এ বাজারে ২-৩ বার আগুনে পুড়ে গেছে। ফের আগুন লাগলো এ বাজারে। কম বেশী ১০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা রোমানা আক্তার জানান, আগুন লাগার সাথে সাথে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অনেক বড় ধরনের অগ্নিকান্ড ঘটেছে। অনেক গুলো দোকানপাট ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে।
খাগড়াছড়ি ও দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি বসত ঘরসহ ৬৯টি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান পুড়ে গেছে বলে আমরা তথ্য পেয়েছি । আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন আমরা বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করে তারপর জানাবো। সব সময়ের মতো এবারও ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে রয়েছে জেলা প্রশাসন যোগ করেন এ কর্মকর্তা।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ক্ষতি গ্রস্থদের জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব রকম সহায়তার আশ্বাস দেন।