সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ০৩:৩১ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিজয়ের মাসে নোয়াখালীতে “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব?
রাজনীতির সকল সংবাদ ::
১৪ ও ১৬ ডিসেম্বরের কর্মসূচি ঘোষণা করল বিএনপি মানবাধিকার দিবসকে ঘিরে কর্মসূচির নামে নাশকতার চেষ্টা করছে দলটি, বিএনপি: পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী তারেক রহমান আমাকে বলেছিলেন— ভালো না লাগলে চলে যান: ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর বেইমান-দালাল’ স্লোগানের মুখে আদালত ছাড়লেন শাহজাহান ওমর জামিন পাননি বিএনপির আমীর খসরু-স্বপন-প্রিন্স রাজনীতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারের আশ্বাসেই নির্বাচনে এসেছি: জাপা মহাসচিব ৭ ও ৮ ডিসেম্বর অবরোধ এবার বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ মার্চ জামায়াতের আমিরসহ ৭২ জনের বিচার শুরু যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না: ওবায়দুল কাদের

মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

  • kamal Uddin khokon
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৫৩৩ বার পড়া হয়েছে

মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

সিটিজিট্রিবিউন: বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত ক্ষমতায় রাখবে কি না- তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের গতকালের বক্তব্য প্রসঙ্গে আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুস সেলিম, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ইসমাইল হোসেন তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব বলেছেন, ভারতকে বলেছি আমাদেরকে সরকারে রাখতে। অর্থাৎ ভারত তাদেরকে রাখবে কি না- এটা নিয়ে সংশয় আছে। যাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর, সেই সম্পর্ক যদি স্বামী-স্ত্রীর হয় সেখানে তালাকে সম্ভাবনা আছে কি না, যদি না থাকে তাহলে মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রের কথা, রাজনীতির কথা, দেশের মান-সম্মানের কথাটুকু চিন্তা না করে তারা যে ধরনের উক্তি করেন- তাতে আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করা আমাদের কোনো অবকাশ নাই।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাজারে যে কচুর দাম ৮০ টাকা সেটা কিশোরগঞ্জের বাজারে ৩০ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়ছে। তার পাশাপাশি একটি জিনিসের দাম ক্রমান্বয়ের কমতেছে সেই জিনিসটার নাম আপনারা জানেন কি জানেন না আমি জানি না। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের দাম প্রতিদিনই কমতেছে।’

‘এই যে লোহা-লক্কর-স্ক্র্যাপ প্রভৃতি জিনিস নিলামে বিক্রি করে না যা ব্যবহার যোগ্য না। সেখানে শত শত লোক নিলাম ডাকতে বসে। কিন্তু আজকে যদি আওয়ামী লীগের নিলাম হয় আমার মনে হয় এটা কিনবে না কেউ।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এখন আমরা দলের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আছি, পরবর্তী ইলেকশনে হাউ টু সিকিউরড দ্য নমিনেশন অর্থাৎ কীভাবে মনোনয়ন লাভ করব সেটাই আমার দুশ্চিন্তা, পাশ করা নিয়ে আমার দুশ্চিন্তা নেই। সেই কারণেই আন্দোলনের চেয়ে প্রতি এলাকায় এলাকায় প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা এবং দলের নেতাকর্মীরা যারা আন্দোলন করবে তারা আন্দোলনের পথ থেকে অর্থাৎ যারা প্রার্থী হবেন তাদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করছে কি না- এটা আমাদের ভাবতে হবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি, রাজপথ দখল করতে হবে। কিন্তু অনেকেই সেই কথা মতো উদ্যোগ গ্রহণ করে সংগঠিত করতে পারি না যেই সাহসী যুবকেরা রাজপথে আসবে, তাদের উৎসাহিত করবে। এটা কিন্তু আমাদের এক ধরনের ত্রুটি। সেই ত্রুটি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মুখে বলছি, নির্বাচন করব না। আমাকে বলতে হবে আমি যেটা বলি সেটা যে আমার মনের কথা সেটা কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে, মানুষকে আস্থায় আনতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে যতদিন ধরে আওয়ামী লীগকে চিনি ততদিন ধরে বলি, আওয়ামী লীগ যাহা বলে তাহা করে না, যাহা করে তাহা বলে না।’প্রতিবেদন:কেইউকে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

বিজয়ের মাসে নোয়াখালীতে “সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ

মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

আপডেট সময় : ১২:১৫:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ অগাস্ট ২০২২

মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন, প্রশ্ন গয়েশ্বরের

সিটিজিট্রিবিউন: বাংলাদেশের বর্তমান শেখ হাসিনা সরকারকে ভারত ক্ষমতায় রাখবে কি না- তা নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে সংশয় দেখা দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেনের গতকালের বক্তব্য প্রসঙ্গে আজ (শুক্রবার) জাতীয় প্রেস ক্লাবের এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের উদ্যোগে ‘বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে ও সভাপতি মুহাম্মদ সাইদুর রহমানের পরিচালনায় আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন বুলু, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি আব্দুস সেলিম, তাঁতী দলের মনিরুজ্জামান মুনির, কৃষক দলের ইসমাইল হোসেন তালুকদার প্রমুখ বক্তব্য দেন।

গয়েশ্বর বলেন, ‘পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন সাহেব বলেছেন, ভারতকে বলেছি আমাদেরকে সরকারে রাখতে। অর্থাৎ ভারত তাদেরকে রাখবে কি না- এটা নিয়ে সংশয় আছে। যাদের সম্পর্ক স্বামী-স্ত্রীর, সেই সম্পর্ক যদি স্বামী-স্ত্রীর হয় সেখানে তালাকে সম্ভাবনা আছে কি না, যদি না থাকে তাহলে মোমেন সাহেব এই ধরনের উক্তি কেন করেন?’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে তারা রাষ্ট্রের কথা, রাজনীতির কথা, দেশের মান-সম্মানের কথাটুকু চিন্তা না করে তারা যে ধরনের উক্তি করেন- তাতে আমরা একটা স্বাধীন দেশের নাগরিক দাবি করা আমাদের কোনো অবকাশ নাই।’

তিনি বলেন, ‘ঢাকার বাজারে যে কচুর দাম ৮০ টাকা সেটা কিশোরগঞ্জের বাজারে ৩০ টাকা। এভাবে প্রত্যেকটা জিনিসের দাম বাড়ছে। তার পাশাপাশি একটি জিনিসের দাম ক্রমান্বয়ের কমতেছে সেই জিনিসটার নাম আপনারা জানেন কি জানেন না আমি জানি না। আমার মনে হয়, আওয়ামী লীগের দাম প্রতিদিনই কমতেছে।’

‘এই যে লোহা-লক্কর-স্ক্র্যাপ প্রভৃতি জিনিস নিলামে বিক্রি করে না যা ব্যবহার যোগ্য না। সেখানে শত শত লোক নিলাম ডাকতে বসে। কিন্তু আজকে যদি আওয়ামী লীগের নিলাম হয় আমার মনে হয় এটা কিনবে না কেউ।’

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বিএনপির এই নীতিনির্ধারক বলেন, ‘এখন আমরা দলের মধ্যে প্রতিযোগিতায় আছি, পরবর্তী ইলেকশনে হাউ টু সিকিউরড দ্য নমিনেশন অর্থাৎ কীভাবে মনোনয়ন লাভ করব সেটাই আমার দুশ্চিন্তা, পাশ করা নিয়ে আমার দুশ্চিন্তা নেই। সেই কারণেই আন্দোলনের চেয়ে প্রতি এলাকায় এলাকায় প্রার্থীদের প্রতিযোগিতা এবং দলের নেতাকর্মীরা যারা আন্দোলন করবে তারা আন্দোলনের পথ থেকে অর্থাৎ যারা প্রার্থী হবেন তাদের পেছনে ঘুরতে ঘুরতে একটা নির্বাচনী পরিবেশ তৈরি করছে কি না- এটা আমাদের ভাবতে হবে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি, রাজপথ দখল করতে হবে। কিন্তু অনেকেই সেই কথা মতো উদ্যোগ গ্রহণ করে সংগঠিত করতে পারি না যেই সাহসী যুবকেরা রাজপথে আসবে, তাদের উৎসাহিত করবে। এটা কিন্তু আমাদের এক ধরনের ত্রুটি। সেই ত্রুটি থেকে আমাদের মুক্ত হতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘আমি মুখে বলছি, নির্বাচন করব না। আমাকে বলতে হবে আমি যেটা বলি সেটা যে আমার মনের কথা সেটা কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড দিয়ে মানুষকে বিশ্বাস করাতে হবে, মানুষকে আস্থায় আনতে হবে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক জীবনে যতদিন ধরে আওয়ামী লীগকে চিনি ততদিন ধরে বলি, আওয়ামী লীগ যাহা বলে তাহা করে না, যাহা করে তাহা বলে না।’প্রতিবেদন:কেইউকে।