সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ০৯:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব? দূর্গাপূজা উপলক্ষে র‍্যাবের রোবাস্ট পেট্রোলিং ও চেকপোস্ট
রাজনীতির সকল সংবাদ ::
খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ মার্চ জামায়াতের আমিরসহ ৭২ জনের বিচার শুরু যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না: ওবায়দুল কাদের ‘ডামি নির্বাচন’ বাতিল করতে হবে: আ স ম রব ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে’ পিটার হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন: ওবায়দুল কাদের ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ডেকেছে বিএনপি গণগ্রেপ্তার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে বাধা হতে পারে: তৈমূর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে শরিকদের সঙ্গে আসন ভাগাভাগি: কাদের নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৯টিতে প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় পার্টি

মেনস্ট্রিমে কাজ করতে হলে কী করতে হয় আজও জানি না, সঙ্গীত দিবসে আক্ষেপ ইমনের

  • kamal Uddin khokon
  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২
  • ৫৩৮ বার পড়া হয়েছে

মেনস্ট্রিমে কাজ করতে হলে কী করতে হয় আজও জানি

না, সঙ্গীত দিবসে আক্ষেপ ইমনের

সিটিজিট্রিবিউন: প্রতিযোগিতার পরে গানের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রতিযোগীরা, দায়ী কে? প্রশ্ন এখন এটাই। চ্যানেলে চ্যানেলে গানের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিরা মঞ্চে গান শুনিয়ে মন জয় করছেন শ্রোতাদের। বিচারকদের বাহবাও পাচ্ছেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয়ের খেতাবও পাচ্ছেন। তার পর? গানের জগতে পায়ের তলার জমি কি তাঁরা পাচ্ছেন? নাকি হারিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য তারার মাঝে। সঙ্গীত দিবসে এই প্রশ্ন নিয়েই আনন্দবাজার অনলাইন হাজির তারকাদের কাছে।

‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ৩’। কলকাতার ছেলে ইমন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেকেন্ড রানার আপ। বিচরকদেরও খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ইমন। কেন পারলেন না মুম্বইয়ের গানের জগতে টিকে থাকতে?

‘‘এই উত্তর আজও আমার জানা নেই। ওই শো শেষ হওয়ার পর সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। কিন্তু এখনও লড়াই করতে হচ্ছে। যখন গান গেয়েছি, সবাই বলেছেন দারুণ। ব্যস, ওই পর্যন্তই। মেনস্ট্রিমে কাজ করতে গেলে কী করতে হয়, সেটা আজও জানতে পারিনি।’’

গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে পঙ্কজ উদাসকে দেখা না গেলেও এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখতে মাঝেমাঝেই টিভির পর্দায় চোখ রাখেন তিনি।ভাল শিল্পীর হারিয়ে যাওয়ার জন্য নেপথ্যে চ্যানেলের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন পঙ্কজ। ‘‘আমার মনে হয় এই ধরনের রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে চ্যানেল তার বাণিজ্যিক দিকটায় গুরুত্ব দেয় বেশি। যারা এই প্রতিযোগিতায় আসে তারা যথেষ্ট প্রতিভাবান। কেউ কেউ তো ভীষণ ভাল গায়। প্রতিযোগিতার পরে তারা আর গানের জগতে জায়গা করতে পারে না। চ্যানেলের উচিত প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরেও ওদের গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করা। কিন্তু চ্যানেল তো প্রতিযোগিতার তিন-চার মাস ওদের সঙ্গে থাকে। তারপর সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেয়। প্রতিযোগীরাও হারিয়ে যায়। কিছু দিন পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। রিয়্যালিটি শোয়ের এটাই খারাপ দিক।’ কলকাতার গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান মানেই প্রশিক্ষকের ভূমিকায় রথিজিৎ। নিজেও রিয়্যালিটি শোয়ের ফাইনালিস্ট ছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘সিনেমার গান না গাইলে একজন শিল্পী স্বীকৃতি পায় না। এটাই এই ইন্ডাস্ট্রির রীতি। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই ভাল গান গায়। কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। এর জন্য সিস্টেম দায়ী। যোগ্য গায়করা সুযোগের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।’’

প্রতিযোগিতামূলক গানের অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারকে। অরিজিৎ সিংহ বা শ্রেয়া ঘোষালের মত কোনও প্রতিভাবান শিল্পীর দেখা নেই কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জয় মনে করেন, ভাল শিল্পীর অভাব আগেও ছিল, এখনও আছে। সেরার সংখ্যা বরাবরই কম। জয় আরও বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর বিরাট কিছু করে ফেললাম, এই মানসিকতা থেকেও অনেকে গানের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।’’

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগমকে গানের অনুষ্ঠানে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বহু বার।বর্তমানে তিনি বিদেশে অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। আনন্দবাজার অনলাইনকে বার্তার মাধ্যমে সোনু জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি খুবই আপেক্ষিক, আগেও তাঁর মতামত জানিয়েছেন, তাই আর নতুন করে বলার কিছু নেই।’ উঠতি গায়কদের জন্য রিয়্যালিটি শোয়ের গুরুত্ব কতখানি? নতুন মুখকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কার? সঙ্গীত দিবসে এই প্রশ্ন থেকেই গেল।।প্রতিবেদন:কেইউকে

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

চিকিৎসক না কি ফুটবলার, অভিনেত্রী ঋ-এর কোন পেশার পাত্র পছন্দ? জানালেন সতীর্থেরা

মেনস্ট্রিমে কাজ করতে হলে কী করতে হয় আজও জানি না, সঙ্গীত দিবসে আক্ষেপ ইমনের

আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জুন ২০২২

মেনস্ট্রিমে কাজ করতে হলে কী করতে হয় আজও জানি

না, সঙ্গীত দিবসে আক্ষেপ ইমনের

সিটিজিট্রিবিউন: প্রতিযোগিতার পরে গানের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছেন প্রতিযোগীরা, দায়ী কে? প্রশ্ন এখন এটাই। চ্যানেলে চ্যানেলে গানের প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিরা মঞ্চে গান শুনিয়ে মন জয় করছেন শ্রোতাদের। বিচারকদের বাহবাও পাচ্ছেন। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর জয়ের খেতাবও পাচ্ছেন। তার পর? গানের জগতে পায়ের তলার জমি কি তাঁরা পাচ্ছেন? নাকি হারিয়ে যাচ্ছেন অসংখ্য তারার মাঝে। সঙ্গীত দিবসে এই প্রশ্ন নিয়েই আনন্দবাজার অনলাইন হাজির তারকাদের কাছে।

‘ইন্ডিয়ান আইডল সিজন ৩’। কলকাতার ছেলে ইমন চট্টোপাধ্যায় ছিলেন সেকেন্ড রানার আপ। বিচরকদেরও খুব প্রিয় হয়ে উঠেছিলেন ইমন। কেন পারলেন না মুম্বইয়ের গানের জগতে টিকে থাকতে?

‘‘এই উত্তর আজও আমার জানা নেই। ওই শো শেষ হওয়ার পর সঙ্গীত পরিচালক প্রীতমের সঙ্গে বেশ কিছু কাজ করেছি। কিন্তু এখনও লড়াই করতে হচ্ছে। যখন গান গেয়েছি, সবাই বলেছেন দারুণ। ব্যস, ওই পর্যন্তই। মেনস্ট্রিমে কাজ করতে গেলে কী করতে হয়, সেটা আজও জানতে পারিনি।’’

গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে পঙ্কজ উদাসকে দেখা না গেলেও এই ধরনের অনুষ্ঠান দেখতে মাঝেমাঝেই টিভির পর্দায় চোখ রাখেন তিনি।ভাল শিল্পীর হারিয়ে যাওয়ার জন্য নেপথ্যে চ্যানেলের উদাসীনতাকেই দায়ী করেছেন পঙ্কজ। ‘‘আমার মনে হয় এই ধরনের রিয়্যালিটি শোয়ের মাধ্যমে চ্যানেল তার বাণিজ্যিক দিকটায় গুরুত্ব দেয় বেশি। যারা এই প্রতিযোগিতায় আসে তারা যথেষ্ট প্রতিভাবান। কেউ কেউ তো ভীষণ ভাল গায়। প্রতিযোগিতার পরে তারা আর গানের জগতে জায়গা করতে পারে না। চ্যানেলের উচিত প্রতিযোগিতা শেষ হওয়ার পরেও ওদের গানের জগতে প্রতিষ্ঠা পেতে সাহায্য করা। কিন্তু চ্যানেল তো প্রতিযোগিতার তিন-চার মাস ওদের সঙ্গে থাকে। তারপর সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেয়। প্রতিযোগীরাও হারিয়ে যায়। কিছু দিন পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। রিয়্যালিটি শোয়ের এটাই খারাপ দিক।’ কলকাতার গানের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান মানেই প্রশিক্ষকের ভূমিকায় রথিজিৎ। নিজেও রিয়্যালিটি শোয়ের ফাইনালিস্ট ছিলেন। তাঁর মতে, ‘‘সিনেমার গান না গাইলে একজন শিল্পী স্বীকৃতি পায় না। এটাই এই ইন্ডাস্ট্রির রীতি। নতুন ছেলেমেয়েদের মধ্যে অনেকেই ভাল গান গায়। কিন্তু তারা সুযোগ পাচ্ছে না। এর জন্য সিস্টেম দায়ী। যোগ্য গায়করা সুযোগের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে।’’

প্রতিযোগিতামূলক গানের অনুষ্ঠানে বিচারকের আসনে দেখা গিয়েছে সঙ্গীত পরিচালক জয় সরকারকে। অরিজিৎ সিংহ বা শ্রেয়া ঘোষালের মত কোনও প্রতিভাবান শিল্পীর দেখা নেই কেন, এই প্রশ্নের উত্তরে জয় মনে করেন, ভাল শিল্পীর অভাব আগেও ছিল, এখনও আছে। সেরার সংখ্যা বরাবরই কম। জয় আরও বলেন, ‘‘প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হওয়ার পর বিরাট কিছু করে ফেললাম, এই মানসিকতা থেকেও অনেকে গানের জগৎ থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।’’

বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক সোনু নিগমকে গানের অনুষ্ঠানে বিচারকের ভূমিকায় দেখা গিয়েছে বহু বার।বর্তমানে তিনি বিদেশে অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। আনন্দবাজার অনলাইনকে বার্তার মাধ্যমে সোনু জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়টি খুবই আপেক্ষিক, আগেও তাঁর মতামত জানিয়েছেন, তাই আর নতুন করে বলার কিছু নেই।’ উঠতি গায়কদের জন্য রিয়্যালিটি শোয়ের গুরুত্ব কতখানি? নতুন মুখকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব কার? সঙ্গীত দিবসে এই প্রশ্ন থেকেই গেল।।প্রতিবেদন:কেইউকে