সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ০৬:৩৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব? দূর্গাপূজা উপলক্ষে র‍্যাবের রোবাস্ট পেট্রোলিং ও চেকপোস্ট
রাজনীতির সকল সংবাদ ::

মিষ্টিকে হারিয়েছি, কলকাতা আর ভাল লাগে না’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন ঐন্দ্রিলার মা

  • kamal Uddin khokon
  • আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
  • ৫৫৪ বার পড়া হয়েছে

মিষ্টিকে হারিয়েছি, কলকাতা আর ভাল লাগে না’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন ঐন্দ্রিলার মা
সিটিজিট্রিবিউন: এক বছর আগে ঠিক এই দিনে দুপুর ১ট নাগাদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াই। দু’বার ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা, তবে শেষ বারটা ফিরে আসা হল না যে। একটা বছর কেটে গেল ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া। তবু মিষ্টিকে (অভিনেত্রী ডাকনাম) ছাড়া একটা দিনও কাটেনি মা শিখা শর্মার। তবে এই এক বছরে যেটা কমেছে, সেটা কলকাতার সঙ্গে যোগযোগ। এই শহরটার সঙ্গে ক্রমে আলগা হচ্ছে শর্মা পরিবারের সম্পর্কে। টালিগঞ্জ এলাকার এক সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে দুই পোষ্যকে নিয়ে থাকতেন ঐন্দ্রিলা। তবে আদরের মিষ্টি যখন আর নেই, অভিনেত্রীর জন্মস্থানেই ফিরে গিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। তাই মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কলকাতা নয়, বরং সব আয়োজন করেছেন বহরমপুরে। কোনও পুজোপাঠ নয়। বরং ঐন্দ্রিলার ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাঁর মা শিখা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে বহরমপুরে বৃক্ষরোপন, নারায়ণ সেবা, পথ কুকুরদের খাওয়ানোর মতো নানা পরিকল্পনা রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শিখা দেবী বলেন, ‘‘এই এক বছরে এমন একটা দিন যায়নি যে, মিষ্টিকে মনে পড়েননি। ও আমার পরিবারের শিরদাঁড়া ছিল। ওর মৃত্যবার্ষিকীতে ও বেঁচে থাকবে যা কিছু ভালবাসত তার মধ্যে। গাছ ছিল ওর বড্ড প্রিয়। তাই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ১২টা গাছ লাগানো হয়েছে. এ ছাড়াও আমার নার্সিং কলেজেও গাছ লাগানো হয়েছে। দুপুরে প্রায় ৫০০ লোককে খাওয়ানো হবে। সন্ধ্যায় পথকুকুরদের জন্য সামান্য কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে এখন আর কলকাতায় ভাল লাগে না। বহরমপুরে ওর জন্মস্থান। এখানেই সব করছি। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে একটা স্কুল খোলার পরিকল্পনা আছে,’’ বলতে গিয়ে ডুকরে উঠলেন শিখা শর্মা।
শুধু শর্মা পরিবার তাদের আদরের মিষ্টিকে হারায়নি। পাশাপাশি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়তমাকেও। এই মৃত্যবার্ষিকীতে কী করছেন তিনি? শিখা শর্মা বলেন, ‘‘কালকেই কথা হয়েছে। ভাল কি না জানি না, তবে ঠিক আছে। আমাকের ওঁর আর মিষ্টির সুন্দর মুহূর্তের গল্পগুলো মাঝেমাঝেই বলে। আমি শুনি, আমার ভাল লাগে। ওকে ভাল থাকতেই হবে।’’।প্রতিবেদন:কেইউকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

নির্বাচন হতে হবে সবার অংশগ্রহণে: জাতিসংঘ

মিষ্টিকে হারিয়েছি, কলকাতা আর ভাল লাগে না’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন ঐন্দ্রিলার মা

আপডেট সময় : ০৬:০৮:১৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

মিষ্টিকে হারিয়েছি, কলকাতা আর ভাল লাগে না’, মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে আবেগঘন ঐন্দ্রিলার মা
সিটিজিট্রিবিউন: এক বছর আগে ঠিক এই দিনে দুপুর ১ট নাগাদ শেষ হয়ে গিয়েছিল ঐন্দ্রিলা শর্মার লড়াই। দু’বার ক্যানসার আক্রান্ত হয়েও ফিরে এসেছিলেন ঐন্দ্রিলা, তবে শেষ বারটা ফিরে আসা হল না যে। একটা বছর কেটে গেল ঐন্দ্রিলাকে ছাড়া। তবু মিষ্টিকে (অভিনেত্রী ডাকনাম) ছাড়া একটা দিনও কাটেনি মা শিখা শর্মার। তবে এই এক বছরে যেটা কমেছে, সেটা কলকাতার সঙ্গে যোগযোগ। এই শহরটার সঙ্গে ক্রমে আলগা হচ্ছে শর্মা পরিবারের সম্পর্কে। টালিগঞ্জ এলাকার এক সুসজ্জিত ফ্ল্যাটে দুই পোষ্যকে নিয়ে থাকতেন ঐন্দ্রিলা। তবে আদরের মিষ্টি যখন আর নেই, অভিনেত্রীর জন্মস্থানেই ফিরে গিয়েছেন তাঁর বাবা-মা। তাই মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে কলকাতা নয়, বরং সব আয়োজন করেছেন বহরমপুরে। কোনও পুজোপাঠ নয়। বরং ঐন্দ্রিলার ভালবাসাকে বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন তাঁর মা শিখা। ঐন্দ্রিলার মৃত্যুবার্ষিকীতে বহরমপুরে বৃক্ষরোপন, নারায়ণ সেবা, পথ কুকুরদের খাওয়ানোর মতো নানা পরিকল্পনা রয়েছে। আনন্দবাজার অনলাইনকে শিখা দেবী বলেন, ‘‘এই এক বছরে এমন একটা দিন যায়নি যে, মিষ্টিকে মনে পড়েননি। ও আমার পরিবারের শিরদাঁড়া ছিল। ওর মৃত্যবার্ষিকীতে ও বেঁচে থাকবে যা কিছু ভালবাসত তার মধ্যে। গাছ ছিল ওর বড্ড প্রিয়। তাই বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজে ১২টা গাছ লাগানো হয়েছে. এ ছাড়াও আমার নার্সিং কলেজেও গাছ লাগানো হয়েছে। দুপুরে প্রায় ৫০০ লোককে খাওয়ানো হবে। সন্ধ্যায় পথকুকুরদের জন্য সামান্য কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তবে এখন আর কলকাতায় ভাল লাগে না। বহরমপুরে ওর জন্মস্থান। এখানেই সব করছি। এ ছাড়াও ভবিষ্যতে একটা স্কুল খোলার পরিকল্পনা আছে,’’ বলতে গিয়ে ডুকরে উঠলেন শিখা শর্মা।
শুধু শর্মা পরিবার তাদের আদরের মিষ্টিকে হারায়নি। পাশাপাশি অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরী হারিয়েছেন তাঁর প্রিয়তমাকেও। এই মৃত্যবার্ষিকীতে কী করছেন তিনি? শিখা শর্মা বলেন, ‘‘কালকেই কথা হয়েছে। ভাল কি না জানি না, তবে ঠিক আছে। আমাকের ওঁর আর মিষ্টির সুন্দর মুহূর্তের গল্পগুলো মাঝেমাঝেই বলে। আমি শুনি, আমার ভাল লাগে। ওকে ভাল থাকতেই হবে।’’।প্রতিবেদন:কেইউকে।