সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ০৩:২১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব? দূর্গাপূজা উপলক্ষে র‍্যাবের রোবাস্ট পেট্রোলিং ও চেকপোস্ট
রাজনীতির সকল সংবাদ ::
বেইমান-দালাল’ স্লোগানের মুখে আদালত ছাড়লেন শাহজাহান ওমর জামিন পাননি বিএনপির আমীর খসরু-স্বপন-প্রিন্স রাজনীতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সরকারের আশ্বাসেই নির্বাচনে এসেছি: জাপা মহাসচিব ৭ ও ৮ ডিসেম্বর অবরোধ এবার বিএনপির নতুন কর্মসূচি ঘোষণা খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির অভিযোগ গঠন শুনানি ২৪ মার্চ জামায়াতের আমিরসহ ৭২ জনের বিচার শুরু যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের কাউকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে না: ওবায়দুল কাদের ‘ডামি নির্বাচন’ বাতিল করতে হবে: আ স ম রব ‘গণতন্ত্রের লড়াইয়ে বিএনপি অবশ্যই বিজয়ী হবে’ পিটার হাস মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে তার আচরণের সীমা মেনে চলবেন: ওবায়দুল কাদের

মির্জা ফখরুলকে মায়া চৌধুরী সময় হলে বুঝবেন দেশ ছেড়ে কারা পালায়

  • Ayaz Ahmed
  • আপডেট সময় : ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২
  • ৫১৩ বার পড়া হয়েছে

মির্জা ফখরুলকে মায়া চৌধুরী সময় হলে বুঝবেন দেশ
ছেড়ে কারা পালায়

 

সিটিজি ট্রিবিউন ঢাকা;

 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, অনেক কথাই বলেছেন। সামনে পিঠের ছাল কাদের থাকবে না, কারা দেশ ছেড়ে ঘটি-বাটি নিয়ে পালিয়ে যাবে সময় হলে টের পাবেন। খেলা তো এখনও দেখেন নাই।

এখন তো পোলাপান রাস্তায়। কয়দিন পরেই বুঝতে পারবেন-ঠেলা কারে বলে। এসময় তিনি বিএনপিকে ষড়যন্ত্র আর বাড়াবাড়ি না করতে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

সোমবার বিকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্পোরেশন (রাজউক) মিলনায়তনে শোক দিবসের আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জীবন বীমা করর্পোরেশন কেন্দ্রীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিয়াজি।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জিয়া ও তার পরিবার জড়িত মন্তব্য করে মায়া চৌধুরী বলেন, সে সময় জিয়া ছিল উপ সেনাপ্রধান। তার কথা ছাড়া, তার নির্দেশ ছাড়া মোসতাকের পক্ষে এই খুন করা সম্ভব না। তিনি বলেন, এই খুনিরা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, মানে নাই।

মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তারা কাজ করেছে। শুরু থেকেই তাদের অন্তরে ছিল পাকিস্তান, আর বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্র। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর রক্ত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোনো শক্তি যাতে বেঁচে না থাকে এজন্য তারা একই কায়দা ৩রা নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এই খুনি জিয়া, মোসতাকরা।

আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, খুনিরা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর রক্তে আঘাত করেছে। তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করেছে। তাদের ধারণা ছিল-বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা নিশ্চিহ্ন করতে পারলে এদেশকে তারা পাকিস্তানী ভাবধারায় গড়ে তুলতে পারবে।

তিনি বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধু কে বিশ্বাস করে না, এদেশের উন্নয়ন বিশ্বাস করে না, কথায় কথায় যারা পাকিস্তানী ভাবধারা তুলে ধরে তারা সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জামায়াত-শিবির আল শামস সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, পাকিস্তানীদের সেই প্রেতাত্মারা এখনও সক্রিয়। ৭৫ এর কায়দায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছে খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান।

একই রক্ত, একই ধারা, একই রক্ত চেতনায় জিয়া পরিবার যেমন বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা , উন্নয়নের রূপকার, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার তারা হত্যা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই খুনি পরিবার যতদিন পর্যন্ত তাদের মনের খায়েশ পূর্ণ না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। এই পরিবারটির বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। কারণ উল্লেখ করে মায়া চৌধুরী বলেন, এরা নির্বাচন মানে না। এরা নির্বাচন কমিশন মানে না, এরা ইভিএম মানে না। এরা জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় আসতে চায়।

তিনি বলেন, এখন আর সেই শক্তি নেই। ভুয়া ভোটর বানিয়ে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। এখন শেখ হাসিনার স্লোগান-আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। ২০২৩ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় আসবেন বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সজাগ থাকতে হবে যাতে কেই অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান পলাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, দলটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন,

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সহিদুল ইসলাম মিলন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. এম এ সালাম, বিশ্বদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো: আবু তাহের প্রমূখ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

ডিপফেকের তালিকায় আরও এক নায়িকা! রশ্মিকা, আলিয়ার পরে এ বার শিকার প্রিয়ঙ্কা চোপড়া

মির্জা ফখরুলকে মায়া চৌধুরী সময় হলে বুঝবেন দেশ ছেড়ে কারা পালায়

আপডেট সময় : ০৫:০১:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ অগাস্ট ২০২২

মির্জা ফখরুলকে মায়া চৌধুরী সময় হলে বুঝবেন দেশ
ছেড়ে কারা পালায়

 

সিটিজি ট্রিবিউন ঢাকা;

 

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম বলেছেন, অনেক কথাই বলেছেন। সামনে পিঠের ছাল কাদের থাকবে না, কারা দেশ ছেড়ে ঘটি-বাটি নিয়ে পালিয়ে যাবে সময় হলে টের পাবেন। খেলা তো এখনও দেখেন নাই।

এখন তো পোলাপান রাস্তায়। কয়দিন পরেই বুঝতে পারবেন-ঠেলা কারে বলে। এসময় তিনি বিএনপিকে ষড়যন্ত্র আর বাড়াবাড়ি না করতে হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন।

সোমবার বিকালে রাজধানী উন্নয়ন কর্পোরেশন (রাজউক) মিলনায়তনে শোক দিবসের আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে উদ্দেশ্য করে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন জীবন বীমা করর্পোরেশন কেন্দ্রীয় কমিটি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মিয়াজি।

বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নেতা হত্যার সঙ্গে সরাসরি জিয়া ও তার পরিবার জড়িত মন্তব্য করে মায়া চৌধুরী বলেন, সে সময় জিয়া ছিল উপ সেনাপ্রধান। তার কথা ছাড়া, তার নির্দেশ ছাড়া মোসতাকের পক্ষে এই খুন করা সম্ভব না। তিনি বলেন, এই খুনিরা এদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় দেশের স্বাধীনতা চায় নাই, মানে নাই।

মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে তারা কাজ করেছে। শুরু থেকেই তাদের অন্তরে ছিল পাকিস্তান, আর বঙ্গবন্ধু হত্যা ষড়যন্ত্র। এজন্য তারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে।

বঙ্গবন্ধুর রক্ত, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কোনো শক্তি যাতে বেঁচে না থাকে এজন্য তারা একই কায়দা ৩রা নভেম্বর কারা অভ্যন্তরে জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে এই খুনি জিয়া, মোসতাকরা।

আওয়ামী লীগের এই প্রভাবশালী নেতা বলেন, খুনিরা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর রক্তে আঘাত করেছে। তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা করেছে। তাদের ধারণা ছিল-বঙ্গবন্ধুর রক্তের ধারা নিশ্চিহ্ন করতে পারলে এদেশকে তারা পাকিস্তানী ভাবধারায় গড়ে তুলতে পারবে।

তিনি বলেন, যারা ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না, বঙ্গবন্ধু কে বিশ্বাস করে না, এদেশের উন্নয়ন বিশ্বাস করে না, কথায় কথায় যারা পাকিস্তানী ভাবধারা তুলে ধরে তারা সবাই একই সূত্রে গাঁথা। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি, জামায়াত-শিবির আল শামস সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে।

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনি, পাকিস্তানীদের সেই প্রেতাত্মারা এখনও সক্রিয়। ৭৫ এর কায়দায় বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯ বার হত্যা চেষ্টা করেছে খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার পুত্র তারেক রহমান।

একই রক্ত, একই ধারা, একই রক্ত চেতনায় জিয়া পরিবার যেমন বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছে তেমনি বঙ্গবন্ধু কন্যা , উন্নয়নের রূপকার, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে বারবার তারা হত্যা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় তারা বার বার ব্যর্থ হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এই খুনি পরিবার যতদিন পর্যন্ত তাদের মনের খায়েশ পূর্ণ না হবে ততদিন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাবে। এই পরিবারটির বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান তিনি। কারণ উল্লেখ করে মায়া চৌধুরী বলেন, এরা নির্বাচন মানে না। এরা নির্বাচন কমিশন মানে না, এরা ইভিএম মানে না। এরা জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় আসতে চায়।

তিনি বলেন, এখন আর সেই শক্তি নেই। ভুয়া ভোটর বানিয়ে ক্ষমতায় আসার দিন শেষ। এখন শেখ হাসিনার স্লোগান-আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব। ২০২৩ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হয়ে ক্ষমতায় আসবেন বলেও দাবি করেন তিনি। এসময় তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সজাগ থাকতে হবে যাতে কেই অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান পলাশের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক বাবু সুজিত রায় নন্দী, দলটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন,

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সদস্য সহিদুল ইসলাম মিলন, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ড. এম এ সালাম, বিশ্বদ্যিালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য ড. মো: আবু তাহের প্রমূখ।