শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হওয়ায় চট্টগ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।
সিটিজি ট্রিবিউন, মোহাম্মদ মাসুদ, চট্টগ্রাম;
আজ সোমবার ( ৩রা জানুয়ারি ২০২২ইং) দুপুরে বিমানবন্দরে আরব আমিরাতগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের ফুল এবং মিস্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতা জানান সুজন।
এসময় তিনি বলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণ এড়াতে আরব আমিরাতগামী ফ্লাইট উড্ডয়নের ৬ঘন্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্টের বাধ্যবাধকতা থাকায় পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ তাদের বিমানবন্দরসমূহে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করে। এরই প্রেক্ষিতে দেশের বিমানবন্দরসমূহে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন বাধ্যবাধকতা হয়ে পড়ে।
প্রবাসীগণও দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসমূহে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রবাসীদের দাবির প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে জরুরি ভিত্তিতে দেশের বিমানবন্দরসমূহে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপনের নির্দেশনা প্রদান করেন। ঢাকা শাহজহালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হলেও বিভিন্ন কারণে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এতোদিন আরটিপিসিআর ল্যাব স্থাপন করা হয়নি। ফলে চট্টগ্রামে অবস্থানরত প্রবাসীরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে ঢাকা শাহজহালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হয়ে আরব আমিরাতের বিভিন্ন দেশে তাদের গন্তব্যে যেতে বাধ্য হচ্ছিল।
এতে করে অতিরিক্ত খরচের পাশাপাশি তারা নানা ধরণের ভোগান্তিতে পড়ছিল। নাগরিক উদ্যোগও দীর্ঘদিন ধরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাবের কার্যক্রম শুরু করার বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের নজরে আনার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে। গণমাধ্যমও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। অবশেষে আজ দুপুরে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটিপিসিআর ল্যাবের আনুষ্ঠানিক পরীক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়।
পরীক্ষা কার্যক্রমের শুরুতে সুজন আরব আমিরাতগামী ফ্লাইটের যাত্রীদের ফুল এবং মিস্টি দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে গিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী, প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিমানবন্দরের কর্মকর্তাসহ গণমাধ্যম কর্মীদের নিকট বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আজকের দিনটিকে চট্টগ্রামবাসীর খুশির দিন বলে উল্লেখ করেন। প্রবাসীরাও শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সরাসরি আরব আমিরাত যেতে পারায় উচ্ছসিত হন।
তবে প্রবাসীরা বিমানের টিকিটির অযৌক্তিক মূল্য বৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ এবং বিমানবন্দরে বিশ্রাম, টয়লেট এবং খাবারের সুবিধাদির বিষয়ে সুজনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। তিনি প্রবাসীদের উত্থাপিত বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী এবং বিমানবন্দরের পরিচালকের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস প্রদান করেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক উইং কমান্ডার মো. ফরহাদ হোসেন খান, নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, আব্দুর রহমান মিয়া, নাছির আলম, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন, নুরুল কবির, মোরশেদ আলম, মো. সেলিম, সমীর মহাজন লিটন, মো. শাহজাহান, মো. বাবলু, জাইদুল ইসলাম দুর্লভ, হাসান হাবিব সেতুসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী এবং বিমানবন্দরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন l