বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে!
সিটিজি ট্রিবিউন চট্টগ্রাম;
আসন্ন বাঘাইছড়ি পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ’ সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে ‘মোবাইল প্রতীক’ নিয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেন, মো. রহমত উল্লাহ খাজা। আগামী ১৫ জুন নির্বাচন, এই উপলক্ষে রহমত উল্লাহ খাজা নির্বাচন কমিশনের বিধিমালা মেনেই ভোটার ও সমর্থকদের নিয়ে প্রচার-প্রচারণায় নামেন। গতকাল ৬ জুন সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় প্রার্থী রহমত উল্লাহ খাজা তার ভোটারদের নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী মজিবুর রহমানসহ একটি সভা করেন।
সভায় বক্তব্য দেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ প্রার্থীর ইন্ধনে রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট এসে সভাস্থলে হামলা করে সভা ভেঙে দেয়৷ এরপর প্রার্থীর সঙ্গে রিটার্নিং অফিসার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করে ১০ হাজার টাকা জরিমানার মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একাধিক সূত্রে জানা যায়, জরিমানা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের অন্যতম কারণ হচ্ছে, প্রতিপক্ষ আওয়ামীলীগ প্রার্থীকে বিজয়ী করা এবং নির্বাচন থেকেই প্রার্থী রহমত উল্লাহ খাজাকে দূরে সরিয়ে রাখা।
সভায় অংশ নেওয়া খাজার পক্ষের জনসমর্থন অভিযোগ করে বলেন, “যেসময় আমাদের সভায় হামলা ও জরিমানা করা হয়েছে সেসময় কিন্তু প্রতিপক্ষ প্রার্থীর দু’টি সভা চলছিল, সেসব সভায় ভোটার ও সমর্থকদের উপস্থিতি ছিল একদম নগন্য। কিন্তু আমাদের সভায় হাজার হাজার ভোটার ও সমর্থকদের উপস্থিত ছিল; মূলত খাজার পক্ষের গণজোয়ার থামাতে রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট অতর্কিতভাবে হামলা ও জরিমানা করে নির্বাচন থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে; যা নিন্দনীয়, এবং পক্ষপাতিত্ব আচরণের সামিল; এটা সম্পূর্ণ বেআইনি ও রহমত উল্লাহ খাজার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর হয়ে কাজ করার সামিল।”
গতকাল ৬ জুন সন্ধ্যা ৭ ঘটিকায় ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিষয়ে মোবাইল প্রতীক এর পক্ষে প্রচারণার রত পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব কাজী মুজিব থেকে জানতে চাইলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, “রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেট আমাদের সমর্থিত প্রার্থীকে ঠেকাতে পরিকল্পিতভাবে আমাদের সভা-সমাবেশে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে, এবং আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থীর জয় নিশ্চিত করতে বিভিন্নভাবে বাধা প্রদান করছে৷ সুস্থ,
অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণ মূলক নির্বাচনের জন্য রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেটকে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ বন্ধ করতে হবে, এবং প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হয়রানি বন্ধ করতে হবে৷ এজন্য আমি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি৷”
রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্দিষ্ট প্রার্থীর সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, রিটার্নিং কর্মকর্তা অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট এবং তার অতীত কালিমালিপ্ত।
রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রত্যাহার চান কিনা এমন প্রশ্নে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব কাজী মুজিব সাহেব বলেন , নির্বাচনের যেহেতু আর মাত্র কয়েকদিন বাকি, সেজন্য প্রত্যাহার বা বদলি করা হলে নির্বাচন বিঘ্নিত হবে। তাই আমরা প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি না। আমরা দাবি জানাচ্ছি লেভেল প্লেইং ফিল্ড এর। তিনি আরও বলেন, বাঘাইছড়ি পৌর নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই।
আমাদের অনেক ভোটার, সমর্থক ও নেতাকর্মী প্রতিপক্ষ প্রার্থীর হয়রানিসহ রিটার্নিং অফিসার, ম্যাজিস্ট্রেটের হয়রানির ভয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারছেন না।