নোয়াখালীর কবিরহাটে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ এর উদ্যোগে সেলুনে আসা সেবাগ্রহীদের বই পড়ায় উদ্বুদ্ধ করতে নোয়াখালীতে বুক সেলফ ও বই বিতরণ করা হয়েছে।
৬জুলাই (বুধবার) দুপুরে নোয়াখালী কবির হাট ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মুকবুল চৌধুরীর হাটে প্রয়াত কবি ও লেখক, বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম আহসানের সমাধিস্থল জিয়ারতের পর সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা,কবিতা ঘরের পরিচালক কবি গোলাম মাওলা জসিমের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় স্থানীয় মতি লাল শীলের সেলুনে ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র উদ্বোধন করেন ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন খান । বিশেষ অতিথি ছিলেন একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফ ও বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সজীব হাসান। এসময় উদ্বোধক সহ আগত অতিথিরা সেুলন মালিককে ফুল দিয়ে বরণসহ তার হাতে বই ও বুক সেলফ তুলে দেন।
এ সময় উদ্বোধক কামাল উদ্দিন খান বলেন , ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’ এর এ উদ্যোগের ফলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ সৃষ্টি হবে।প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ ধরণের উদ্যোগ খুবই ভালো উদ্যোগ। আমি এর উদ্যোক্তাকে স্বাগত জানাই’।
সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মান্নান মুনাফ জানান,অত্র ইউনিয়নের উন্নয়ন ও সাংস্কৃতিক অবকাঠামো উন্নয়নে নিরলস ভাবে কাজ করে গেছেন প্রয়াত কবি ও লেখক বীরমুক্তিযোদ্ধা এনাম আহসান।তিনি মারা যাবার পর আবারো যেন প্রাণ ফিরে পেতে চলেছে ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগের মাধ্যমে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা এনাম আহসানের সুযোগ্য সন্তান
বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সজীব হাসান জানান,এই উদ্যোগের মাধ্যমে ছেলে -বুড়ো সকলেই বই পড়ার অভ্যাস সৃষ্টি করতে পারবে।আমার বাবার শিল্প সাহিত্যের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা ছিল।তিনি চাইতেন সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ।সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে এই কার্যক্রম দেখে আমি খুবই অভিভূত ‘।
গোলাম মাওলা জসিম জানান,এই শাখা উদ্বোধন করা আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং হয়ে দাড়িয়েছিলো।কারণ যখন আমি এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার পথে তখন আমার মেয়ে হাসপাতালে, তার এপেন্ডিসাইটিস এ অপারেশন হচ্ছে।তবুও দায়িত্ব নিয়ে কষ্ট হলেও আমি এই কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পেরেছি বলে শোকরিয়া জ্ঞাপন করছি।
বর্তমান যুগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের কারণে নাটকীয়ভাবে তরুণ প্রজন্মের যোগাযোগের পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আর এর ফলে মানুষের মধ্যে বই পড়ার অভ্যাস কমে গেছে। দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বইয়ের পাঠক। পাঠবিমুখতা দূর করে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে এ উদ্যোগ বলে আরো জানান ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে ‘র স্বপ্নদ্রষ্টা গোলাম মাওলা জসিম।
এ সময় স্থানীয় কবি, সংস্কৃতিকর্মী ও সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, অবসরে বই পড়ুন’- এ স্লোগানকে সামনে রেখে ২০১৮ সালের ৩০ জুন গোলাম মাওলা জসিমের নিজ এলাকা নোয়াখালীতে রতনের সেলুনে বই ও আলমারি বিতরণের মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।