নজির বিহীন হলেও সত্য আলীকদম উপজেলায় একই বাড়িতে দুইজন প্রতিবন্ধী
সিটিজি ট্রিবিউন এস.এফ.এম.মোস্তাঈন বিল্লাহ। আলীকদম (বান্দরবান)
নজির বিহীন হলেও সত্য আলীকদম বাজার পাড়া এলাকায় একই পরিবারে দুই জন প্রতিবন্ধী। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে রয়েছে। বাজার পাড়ার বাসিন্দা শাহ আলম পেশায় একজন চকরিয়া-আলীকদম রোডের গাড়ির স্টাফ। তিনি বর্তমান চারটি সন্তানের জনক।
তার দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। তার মধ্যে মেজ ছেলে মোঃ সাজ্জাদ বয়স ২২ও মোঃ শাকিব বয়স ২০ জন্ম গ্রহণের সময় স্বাভাবিক সুস্থ অবস্থায় জন্ম গ্রহণ করলে ও অস্বাভাবিক ভাবে তাদের দুইটি হাত ও দুইটি পা অচল হয়ে পড়েছে। অর্থাৎ বর্তমান শারীরিক প্রতিবন্ধী অবস্থায় রয়েছে। তাদের উন্নতি চিকিৎসার জন্য সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অর্থের অভাবে চিকিৎসা পরিপূর্ণ দেওয়া সম্ভব হই নি। মোঃ শাহ আলম হাঁটি হাঁটি পা পা করে সংসারের খরচ বহন করলে ও ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। দীর্ঘ দিন পর্যন্ত অন্ধকারে দিন পোহাচ্ছে। মোঃ শাহ আলম বলেন, আমার সমস্ত অর্থ আমার দুইটি ছেলের জন্য ব্যায় করেছি আমার চেষ্টার কমতি নেয়।
আমি সরজমিনে দুইটি ছেলের সাথে কথা বললে বুঝতে পারি তাদের যথেষ্ট মেধা ও প্রতিভা রয়েছে। মোঃ সাজ্জাদ তিনি মানসিক ভাবে যথেষ্ট সতেজ। সাম্প্রতিক আলীকদম উপজেলার সবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ সায়েদ ইকবাল তাদের সাথে সৌজন্যে সাক্ষাৎ করেন, তাদের কথা শুনে তার পকেট থেকে কিছু অর্থ বের করে দেন এবং উপজেলা পরিষদ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা থাকবে বলে আশ্বাস ও দিয়েছিলেন।
সরকারি সামন্য ভাতা পেলেও বর্তমান চিকিৎসার অভাব দিন পোহাচ্ছে। সাম্প্রতিক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা রেপার করলে ও অর্থের অভাবে নিতে সক্ষম হয়ে উঠেনি। ছেলে দুইটির মায়ের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচনের আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি থাকলেও নির্বাচনের পর আর কেন সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দেয়নি।
আমি একজন মা হিসাবে তাদের উঠা, নামা প্রশ্রাব, পায়খানা থেকে শুরু করে সবকিছু একই স্থানে করতে হই। ওদের সেবা করতে করতে শারীরিক ভাবে আমিও অসুস্থ হয়ে পড়েছি। বর্তমানে আমি আমার এই দুই সন্তান নিয়ে কষ্টের দিন যাপন করতেছি।
অর্থের অভাবে আমার ছেলেদের ভালো চিকিৎসা করতে অক্ষম হয়ে পড়েছি। তাই তিনি সকলকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন। এবং সরাসরি তার পরিবারে এসে তাদের বর্তমান অবস্থা দেখার জন্য আকুল আবেদন জানান।