সিটিজি ট্রিবিউন ডটকম ১১:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চবি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রী সমিতির অভিষেক রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপ হয়, আগুনসন্ত্রাসীদের সাথে নয় : তথ্যমন্ত্রী সিটিজিট্রিবিউনের নির্বাহী সম্পাদক আয়াজ আহমেদ সানি’র মায়ের মৃত্যু অসুস্থ মায়ের জন্য দোয়া চাইলেন : সাংবাদিক আয়াজ আহমদ সানি অনিয়মের অভিযোগে লক্ষ্মীপুর-৩ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনের ফলাফলের গেজেট স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন বান্দরবান জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আত্ন-প্রকাশ আগামীকাল চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে আন্তজার্তিক পণ্ডিত বিহার বিশ্ববিদ্যালয়’ স্থাপনের যৌক্তিকতা শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন ঢাকার বাড্ডায় ‘সেলুন পাঠাগার বিশ্বজুড়ে’র বুক সেলফ বিতরণ মা হওয়ার ইচ্ছা ছিল অঙ্কিতার, ‘বিগ বস’-এ ভিকির সঙ্গে অশান্তির পরে কি ভেস্তে যাবে সব? দূর্গাপূজা উপলক্ষে র‍্যাবের রোবাস্ট পেট্রোলিং ও চেকপোস্ট
রাজনীতির সকল সংবাদ ::

দেবের সঙ্গে আমায় নিয়ে ভাবা ঋতুদার শেষ চিত্রনাট্যটা পেলে কাজ শুরু করতাম, কলম ধরলেন ঋতুপর্ণা

  • kamal Uddin khokon
  • আপডেট সময় : ০১:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২
  • ৫০৫ বার পড়া হয়েছে

দেবের সঙ্গে আমায় নিয়ে ভাবা ঋতুদার শেষ চিত্রনাট্যটা

পেলে কাজ শুরু করতাম, কলম ধরলেন ঋতুপর্ণা

সিটিজিট্রিবিউন: ঋতুদা সম্পর্কে যা-ই বলি না কেন, মনে হয় সব সময় কম বলছি। ঋতুপর্ণ ঘোষের কখনও মৃত্যু হতে পারে না। আমার তাকে দেখা একটু অন্য ভাবে। মাত্র দু’টো ছবি করেছিলাম একসঙ্গে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল অ্যাকশন-কাটের পরিধির চেয়ে অনেকটা বড়। ঋতুদার পরিচালনায় অভিনয় করা, সে এক অন্য অনুভূতি।

ছোটদের ছবি ‘হীরের আংটি’র হাত ধরে ঋতুদার যাত্রা শুরু। শেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’। প্রতিটা ছবিতে সম্পর্ককে এক অন্য আঙ্গিকে দর্শকের কাছে তুলে ধরেছিল ঋতুদা। গল্পের ছলে প্রতিটা সম্পর্কের গভীরতাকে এ ভাবে তুলে ধরা— ঋতুদা ছাড়া কেউ পারবে না। মনের কথাগুলো খুব সহজেই যেন পড়ে ফেলতে পারত আমার ঋতুদা।

মহিলাদের তাদের মতো করে উপলব্ধি করত। আমার একটা আক্ষেপ রয়ে যাবে সারা জীবন। শেষ যে চিত্রনাট্যটা শুনিয়েছিল, সেই কাজটা সম্পন্ন হল না। দেব, প্রিয়াংশু আর আমায় নিয়ে একটা দারুণ গল্প ভেবেছিল। তার পর তো আচমকাই যেন এক দমকা হাওয়া এসে সব উল্টেপাল্টে দিল। এখনও আমার মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছে রয়ে গিয়েছে। যদি সেই চিত্রনাট্যটা হাতে পেতাম, তা হলে নিজের মতো করে শুরু করতাম কাজটা।

মানুষ ঋতু আমার কাছে ধরা দিয়েছিল একটু অন্য ভাবেই। আমার বিয়েতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওর। বিয়ের কার্ড আঁকা থেকে আমায় চন্দন পরানো— সবটাই করেছিল নিজে হাতে। ওঁর জন্মদিনে এই কথাগুলোই বার বার মনে পড়ে যায়। আর যত মনে পড়ে, তত বার মন খারাপ হয়।

তখন বাংলা ছবির এত বিদেশে প্রদর্শনীর চল ছিল না। সেই প্রথম ‘উৎসব’ নিয়ে যাওয়া হল। বিদেশের বহু শহরে প্রদর্শনী হল। বিশ্বের দরবারে বাংলা ছবিকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল ঋতুদাই। ‘দহন’-এর রোমিতা হোক কিংবা ‘উৎসব’ ছবির কেয়া— প্রতিটা চরিত্রকে নিজের মধ্যে প্রথমে বপন করত। আমি এখনও বিশ্বাস করি, নারী মনকে ঋতুদার চেয়ে বেশি ভাল কেউ জানতেই পারেনি, পারবেও না।।প্রতিবেদন: কেইউকে।

জনপ্রিয় সংবাদ

চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড থানার অস্ত্র মামলায় আসামি গ্রেফতার।

‘সিআইডি’ খ্যাত ফ্রেড্‌রিকস হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হননি, আসল খবর জানালেন দয়া

দেবের সঙ্গে আমায় নিয়ে ভাবা ঋতুদার শেষ চিত্রনাট্যটা পেলে কাজ শুরু করতাম, কলম ধরলেন ঋতুপর্ণা

আপডেট সময় : ০১:৩১:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩১ অগাস্ট ২০২২

দেবের সঙ্গে আমায় নিয়ে ভাবা ঋতুদার শেষ চিত্রনাট্যটা

পেলে কাজ শুরু করতাম, কলম ধরলেন ঋতুপর্ণা

সিটিজিট্রিবিউন: ঋতুদা সম্পর্কে যা-ই বলি না কেন, মনে হয় সব সময় কম বলছি। ঋতুপর্ণ ঘোষের কখনও মৃত্যু হতে পারে না। আমার তাকে দেখা একটু অন্য ভাবে। মাত্র দু’টো ছবি করেছিলাম একসঙ্গে। কিন্তু সম্পর্কটা ছিল অ্যাকশন-কাটের পরিধির চেয়ে অনেকটা বড়। ঋতুদার পরিচালনায় অভিনয় করা, সে এক অন্য অনুভূতি।

ছোটদের ছবি ‘হীরের আংটি’র হাত ধরে ঋতুদার যাত্রা শুরু। শেষ ছবি ‘চিত্রাঙ্গদা’। প্রতিটা ছবিতে সম্পর্ককে এক অন্য আঙ্গিকে দর্শকের কাছে তুলে ধরেছিল ঋতুদা। গল্পের ছলে প্রতিটা সম্পর্কের গভীরতাকে এ ভাবে তুলে ধরা— ঋতুদা ছাড়া কেউ পারবে না। মনের কথাগুলো খুব সহজেই যেন পড়ে ফেলতে পারত আমার ঋতুদা।

মহিলাদের তাদের মতো করে উপলব্ধি করত। আমার একটা আক্ষেপ রয়ে যাবে সারা জীবন। শেষ যে চিত্রনাট্যটা শুনিয়েছিল, সেই কাজটা সম্পন্ন হল না। দেব, প্রিয়াংশু আর আমায় নিয়ে একটা দারুণ গল্প ভেবেছিল। তার পর তো আচমকাই যেন এক দমকা হাওয়া এসে সব উল্টেপাল্টে দিল। এখনও আমার মনে একটা সুপ্ত ইচ্ছে রয়ে গিয়েছে। যদি সেই চিত্রনাট্যটা হাতে পেতাম, তা হলে নিজের মতো করে শুরু করতাম কাজটা।

মানুষ ঋতু আমার কাছে ধরা দিয়েছিল একটু অন্য ভাবেই। আমার বিয়েতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওর। বিয়ের কার্ড আঁকা থেকে আমায় চন্দন পরানো— সবটাই করেছিল নিজে হাতে। ওঁর জন্মদিনে এই কথাগুলোই বার বার মনে পড়ে যায়। আর যত মনে পড়ে, তত বার মন খারাপ হয়।

তখন বাংলা ছবির এত বিদেশে প্রদর্শনীর চল ছিল না। সেই প্রথম ‘উৎসব’ নিয়ে যাওয়া হল। বিদেশের বহু শহরে প্রদর্শনী হল। বিশ্বের দরবারে বাংলা ছবিকে এক ধাপ এগিয়ে দিয়েছিল ঋতুদাই। ‘দহন’-এর রোমিতা হোক কিংবা ‘উৎসব’ ছবির কেয়া— প্রতিটা চরিত্রকে নিজের মধ্যে প্রথমে বপন করত। আমি এখনও বিশ্বাস করি, নারী মনকে ঋতুদার চেয়ে বেশি ভাল কেউ জানতেই পারেনি, পারবেও না।।প্রতিবেদন: কেইউকে।