দীর্ঘ ৬ মাস পালিয়ে বেড়ানোর পর মাতারবাড়ীতে আক্তার হত্যার প্রধান আসামী আটক, র্যাব-৭
সিটিজি ট্রিবিউন চট্টগ্রাম;
চট্টগ্রাম জেলায় গত ১৩ জানুয়াারী ২০২২ রাত আনুমানিক ০৭;০০ টায় চট্টগ্রাম জেলার মহেশখালী থানাধীন মাতারবাড়ী এলাকায় কতিপয় দৃস্কুতিকারী পূর্ব শত্রæতার জেরে জনৈক মোঃ আক্তার আহমদ এবং তার স্ত্রী’কে হত্যার উদ্দেশ্যে লোহার দন্ড দিয়ে নির্মমভাবে এলোপাথারী আঘাত করে পালিয়ে যায়।
এতে আক্তার আহমদ গুরুতর আহত হন এবং তার স্ত্রী আহত হন। পরবর্তীতে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আক্তার আহমদ’কে চিকিৎসার জন্য প্রথমে মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরবর্তীতে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে আক্তার আহমদ মৃত্যু বরণ করেন।
এ বিষয়ে নিহত ভিকটিম আক্তার আহমদ এর স্ত্রী বাদী হয়ে চট্টগ্রাম জেলার মহেশখালী থানায় ০৭ জন নামীয় এবং ৪/৫ জন’কে অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন,
উক্ত ঘটনাটি সংগঠিত হওয়ার পর থেকে উপরোক্ত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় আসামীদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম ব্যাপক গোয়েন্দা নজরদারী অব্যহত রাখে। গোয়েন্দা নজরদারীর এক পর্যায়ে জানতে পারে যে, উল্লেখিত হত্যা কান্ডের এজাহারনামীয় প্রধান আসামী মোঃ জামাল (২২), চট্টগ্রাম জেলার লোহাগাড়া থানা এলাকায় অবস্থান করছে।
উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে গত ১৪ জুন ২০২২ আনুমানিক ০৪:০০ টায় র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামী মোঃ জামাল (২২),জেলা- চট্টগ্রামকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে আটককৃত আসামী উল্লেখিত হত্যা মামলার এজাহার নামীয় প্রধান আসামী বলে স্বীকার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামী সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে চট্টগ্রাম জেলার সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য,“বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব-) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে জোড়ালো ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব- সৃষ্টিকাল থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধ এর উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতারসহ আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে চলেছে।
র্যাব-৭ চট্টগ্রাম অস্ত্রধারী সস্ত্রাসী, ডাকাত, ধর্ষক, দুর্ধষ চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি, ছিনতাইকারী, অপহরণকারী ও প্রতারকদের গ্রেফতার এবং বিপুল পরিমাণ অবৈধ অস্ত্র,
গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধারের ক্ষেত্রে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করায় সাধারণ জনগনের মনে আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।