‘জুন আন্টি’কে ফিরিয়ে আনছেন
পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার! কী ভাবে?
সিটিজিট্রিবিউন: ছবির ভিতরে ছবি। সেখানেই নাকি ধরা দেবেন ‘জুন আন্টি’! সম্প্রতি এমনই জানিয়েছেন পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার। ধারাবাহিক ‘শ্রীময়ী’ শেষ। রোহিত সেন, শ্রীময়ী আর জুন আন্টিকে কিছুতেই ভুলতে পারছেন না দর্শক। সেই ক্ষতে প্রলেপ দিতেই কি এই ব্যবস্থা? ধারাবাহিক ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ বলছে, গল্পে এক প্রস্থ শ্যুট দেখানো হয়েছে। সেখানে ছবির পরিচালক হিসেবে অভিনয় করেছেন ধারাবাহিকের বর্তমান পরিচালক স্বর্ণেন্দু। ‘রিনি’ ওরফে মিশমি দাসকে বলেছেন, ‘‘আমার ছবিতে খলনায়িকা হিসেবে নেব আপনাকে। আপনার চেহারা, আচরণ খলনায়িকার মতোই!’’স্বর্ণেন্দুর এই উপলব্ধি কিন্তু দর্শকেরা বহু আগেই করে ফেলেছেন। তাঁরা ‘রিনি’ ওরফে মিশমিকে দ্বিতীয় ‘জুন আন্টি’র তকমাও দিয়ে ফেলেছেন। জি বাংলার জনপ্রিয় এই ধারাবাহিকের খলনায়িকা নায়ক-নায়িকা টুকাই আর ঊর্মির মাঝে দাঁড়িয়ে। এক সময়ে সে তার পাড়ার এই দাদার কাছেই পড়ত। এবং চোখে হারাত। ঊর্মি টুকাইদার দখল নিতেই বেজায় কষ্ট তার। সেই যন্ত্রণা থেকে সারাক্ষণ অনিষ্টের চিন্তা। ঊর্মিকে জব্দ করতে পারলেই যেন শান্তি। শ্রীময়ীর বিরুদ্ধে ঠিক যেমন করত জুন। দর্শকদের দাবি, এই চরিত্রে জুনের ছায়া স্পষ্ট। ফলে, রিনিকে পেয়ে তারা বেশ খুশি।
আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল মিশমির সঙ্গে। বাংলা ধারাবাহিকের পাশাপাশি অভিনেত্রী অভিনয় করছেন সুশান্ত দাসের হিন্দি ধারাবাহিক ‘রিস্তো কা মাঞ্ঝা’-তেও। সেখানে তিনি ‘টিনা’। আরও এক দাপুটে খলনায়িকা! দর্শকদের দেওয়া তকমার কথা কি তাঁর কানে গিয়েছে? মিশমির জবাব, ‘‘ঊষসীদির সঙ্গে আমার তুলনা হচ্ছে, শুনেছি। আমি আপ্লুত। অত বড় মাপের অভিনেত্রীর সামান্যতম ছায়াও যদি আমার অভিনয়ে থেকে থাকে আমি ধন্য।’’ তার পরেই রিনির হয়ে সংযোজন, “রিনি জুন আন্টির মতো অত ক্ষতিকারক নয়। আবেগ, অভিমান ওর মধ্যে বেশি। ছোট মেয়ে। কূটবুদ্ধি কম। ফলে, বেশির ভাগ সময়েই বোকামি করে ফেলে। বরং হিন্দি ধারাবাহিকের ‘টিনা’ ভয়ঙ্কর। নিজের ইচ্ছেপূরণ না হলে সে দুনিয়া ওলোট-পালট করে দিতে পারে।”।প্রতিবেদন:কেইউকে।