জিয়া এতিমখানা দূর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের সাজার আদেশ ঘোষনা হওয়ার খবরে চট্টগ্রাম মহানগরে আনন্দ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। রায়ের খবর প্রচারের সাথে সাথে নগরীর মোড়ে মোড়ে অবস্থান করা ছাত্রলীগ যুবলীগের নেতাকর্মীরা আনন্দ প্রকাশ করেন।
নগরীর মুরাদপুর চত্বরে নগর ছাত্রলীগের পূর্বনির্ধারিত অবস্থান কর্মসূচী থেকে এসময় এক বিশাল আনন্দ মিছিল শুরু হয়ে নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে। পরে এক সমাবেশে রায় পরবর্তী অনুভূতি প্রকাশ করে নগর যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
এসময় বক্তারা বলেন, ঐতিহাসিক এই রায়ের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থাপনায় নতুন একটি মাইলফলক উম্মোচন হয়েছে। বিচার ব্যবস্থায় জনগনের আস্থা ও বিশ্বাস সূদৃঢ় হয়েছে। দেশের প্রান্তিক জনগনের জন্য যে আইন বলবৎ রয়েছে তার আওতায় বাইরে রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা থাকতে পারেনা, যা এই রায়ে আরেকবার প্রমাণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এতিম তহবিলের টাকা সরিয়ে খালেদা জিয়া নিজের পরিবারের সদস্যদের এ্যাকাউন্ট মজবুত করেছেন। অন্যদিকে এই টাকার মূল হকদার হিসাবে বাংলার লাখ লাখ অসহায় এতিমদের ঠকিয়েছেন। এসময় বক্তারা বলেন, ইসলামে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে এতিমের হক খেয়ানতকারীদের কঠিন শাস্তি পেতে হবে। খেয়ানতকারীদের অতিসত্বর আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়ার কথা পবিত্র কোরআন মাজীদে উল্লেখ রয়েছে। খালেদা জিয়া এতিমের হক আত্মসাত করার মধ্য দিয়ে যে পাপ করেছেন তার শাস্তি তিনি এবার পেয়েছেন। এই রায়ের কোন প্রতিক্রিয়া বাংলার জনগণ দেখায়নি জানিয়ে বক্তারা আরো বলেন, বাংলার মানুষ শান্তিপ্রিয় ও ধর্মভীরু। এতিমের হক খেয়ানতকারী হিসাবে খালেদা জিয়ার জন্য বাংলার মানুষের বিন্দু পরিমান প্রতিক্রিয়া সৃষ্ট হয়নি। এসময় বক্তব্য রাখেন নগর যুবলীগের আহবায়ক মহিউদ্দিন বাচ্চু, যুগ্ম আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকা, ফরিদ মাহমুদ, সদস্য নূরুল আনোয়ার, সাবেক ছাত্রনেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, হাবিবুর রহমান তারেক, ইলিয়াম উদ্দিন, নগর ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক নূরুল আজিম রনি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সদস্য রাজেশ বড়–য়া, ইয়াসিন আরাফাত কচি, এ.কে করিম সহ নগর ছাত্রলীগের সহ সভাপতি তালেব আলী, গোলাম সামদানী সহ প্রমুখ।
Leave Your Comment Here