চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানার শ্যালিকাকে অপহরণ এবং হত্যা মামলার প্রধান আসামীসহ ০৩ জন এজাহারনামীয় আসামী গ্রেফতার,র্যাব ১৩,
সিটিজি ট্রিবিউন রংপুর;
নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানাধীন শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের দুই মেয়ে মধ্যে বড় মেয়ের সাথে শহিদ শাহ ( ৪০ ) এর বিবাহ হয়।
মাহমুদ বশির আহমেদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট সহকারি পরিচালক ( মিডিয়া ) অধিনায়কের পক্ষে জানান,
বিবাহের পর তারা জয়পুরহাট জেলা শহরে বসবাস করত।তাদের একটি সাত বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে।
তা সত্তেও সিরাজুল ইসলামের ছোট মেয়ের সাথে শহিদ শাহ এর অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে।এ বিষয়কে কেন্দ্র করে তার বড় মেয়ে ও শহিদ শাহ এর সাথে প্রায়ই কলহের সৃষ্টি হয়।এরই একপর্যায়ে ১৫/০৭/২০২১ তারিখে তার স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে।
পরবর্তীতে খোরপোষ ও মোহড়না আদায়ের জন্য ১৮/০৯/২০২১ তারিখে সিরাজুল ইসলামের বড় মেয়ের নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে।এতেও আসামী শহিদ শাহ ( ৪০ ) ক্ষান্ত না হয়ে সিরাজুল ইসলামের ছোট মেয়েকে সুযোগ বুঝে অপহরণ করে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিমের বাবা নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করে।পরবর্তীতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অপহৃতকে উদ্ধার এবং অপহরণকারী শহিদ শাহ ( ৪০ ) কে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
৩ মাস পর শহিদ শাহ জামিনে মুক্তি পায় । মামলাটি আদালতে বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ১৪ অক্টোবর ২০২১ সালে শহিদ শাহ পুনরায় শ্যালিকাকে অপহরণ করে গা – ঢাকা দেয়।এ ঘটনায় ওই তরুণীর বাবা কিশোরগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে।কিন্তু সে সময় অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা যায়নি।
আসামী শহিদ শাহ ( ৪০ ) ভিকটিমকে নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করে এবং একপর্যায়ে ভিকটিম গর্ভবতী হয়ে পরে।ভিকটিমকে সে প্রায়ই নির্যাতন ও মারধর করত।
গত ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে ভিকটিমকে নির্যাতনের এক পর্যায়ে আসামী অন্তঃস্বত্তা ভিকটিমের পেটে লাথি মারে এবং পরবর্তীতে ভিকটিম রক্তক্ষরণে মারা যায়।
উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে,
এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব -১৩,ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানী -২,নীলফামারীর একটি আভিযানিক দল ২৮ জানুয়ারি ২০২২ সন্ধা অনুমান ০৬;৫০ ঘটিকায় গাজীপুর জেলার কালীয়াকৈর থানাধীন সফিপুরের লস্কারচালা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর হত্যা মামলার প্রধান আসামী মোঃ শহিদ শাহ ( ৪০ ) সহ ৭ নং আসামী মোঃ হেলাল মিয়া ( ৫৮ ) এবং ১০ নং আসামী মোঃ আব্দুল করিম শাহ ( ৪৭ ),কে গ্রফতার করে ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে , আসামী শহিদ শাহ ( ৪০ ) ঐ দিনের ঘটনা সম্পূর্ণ বর্ণনা করে।গত ১৪ জানুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে ভিকটিমের নির্যাতনের এক পর্যায়ে সে ভিকটিমের পেটে লাথি মারে।ভিকটিমের রক্তক্ষরণ শুরু হলে সে ভিকটিমকে রংপুর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করার জন্য নিয়ে আসে।
কিন্তু ভিকটিম তখনে রক্তক্ষরণে মারা যায় এবং সে ভিকটিমের লাশ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ থানায় গোপনে দাফনের চেষ্টা করে।বিষয়টি ভিকটিমের পিতা টের পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়।ভিকটিমের পিতা পুলিশসহ আসামীর বাড়িতে গেলে আসামী এবং তার পরিবারের সকলে লাশ রেখে পালিয়ে যায়।
তাদের সাথে হত্যাকান্ডে জড়িত অন্যান্য আসমীদের গ্রেফতারের গোপন অনুসন্ধান চলছে।ধৃত আসামীগণকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।